শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা : চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

দ্বিতীয় পর্ব ১৯ জানুয়ারি : অংশ নেবে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহসহ ১৬ জেলা

স্টাফ রিপোর্টার: টঙ্গিতে তাবলিগ জামাতের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রথম পর্বের তিনদিনের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি। দু’পর্বেই পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। প্রথম পর্বের ১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বের ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।

গতকাল সোমবার দুপুরে ইজতেমা ময়দান সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার কাকরাইলসহ বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও মুসল্লিরা ময়দানের প্যান্ডেল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যতম জিম্মাদার প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনির পৃথক কামরা তৈরির কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। অনুকূল আবহাওয়া বিদ্যমান থাকলে গতবারের চেয়ে এবার বেশিসংখ্যক মুসল্লি আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

এবারের দু’পর্বের ইজতেমায় মুসল্লিদের অংশ নেয়ার জন্য বিশাল চটের প্যান্ডেলকে জেলাওয়ারী নির্দিষ্ট খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এবার প্রথম পর্বের ১৬টি জেলার জন্য পুরো প্যান্ডেলকে ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ১ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৮, ২ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৯, ৩ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১০, ৪ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১১, ৫ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১২, ৬নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৩, ৭ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৬, ৮ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৭, ৯ নম্বর খিত্তায় পঞ্চগড়, ১০ নম্বর খিত্তায় নীলফামারী, ১১ নম্বর খিত্তায় শেরপুর, ১২ নম্বর খিত্তায় নারায়নগঞ্জ-১, ১৩ নম্বর খিত্তায় গাইবান্ধা, ১৪ নম্বর  খিত্তায় নাটোর, ১৫ নম্বর খিত্তায় মাদারীপুর। ১৬ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২৪, ১৭ নম্বর  খিত্তায় নড়াইল, ১৮ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৫, ১৯ নম্বর খিত্তায় নারায়ণগঞ্জ-২, ২০ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৮, ২১ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৪, ২২ নম্বর খিত্তায় লক্ষ্মীপুর-১, ২৩ নম্বর খিত্তায় লক্ষ্মীপুর-২, ২৪ নম্বর খিত্তায় ঝালকাঠি, ২৫ নম্বর খিত্তায় ভোলা-১, ২৬ নম্বর খিত্তায় ভোলা-২, ২৭ নম্বর খিত্তায় মাগুরা ও ২৮ নম্বর খিত্তায় পটুয়াখালী জেলার মুসল্লিগণ অবস্থান নেবেন।

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় মুসল্লিদের অংশ নেয়ার জন্যও জেলাওয়ারী পুরো প্যান্ডেলকে ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ১৬টি জেলার মুসল্লিগণ অংশ নেবেন। খিত্তা অনুযায়ী  জেলাগুলো হচ্ছে: ১ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১, ২ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২, ৩ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৪, ৪ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-১৯, ৫ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২০, ৬ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২১, ৭ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৩, ৮ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২৩, ৯ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-২২, ১০ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৬, ১১ নম্বর খিত্তায় জামালপুর-১, ১২ নম্বর খিত্তায় জামালপুর-২, ১৩ নম্বর খিত্তায় ফরিদপুর, ১৪ নম্বর খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৫ নম্বর খিত্তায় ঝিনাইদহ, ১৬ নম্বর খিত্তায় ফেনী, ১৭ নম্বর খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ১৮ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৭, ১৯ নম্বর খিত্তায় ঢাকা-৫, ২০ নম্বর খিত্তায় চুয়াডাঙ্গা, ২১ নম্বর খিত্তায় কুমিল্লা-১, ২২ নম্বর খিত্তায় কুমিল্লা-২, ২৩ নম্বর খিত্তায় রাজশাহী-১, ২৪ নম্বর খিত্তায় রাজশাহী-২, ২৫ নম্বর খিত্তায় খুলনা-১, ২৬ নম্বর খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৭ নম্বর খিত্তায় খুলনা-২ ও ২৮ নম্বর খিত্তায় পিরোজপুর জেলার মুসল্লিগণ অবস্থান নেবেন।

আয়োজক কমিটির অন্যতম মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবার শুধুমাত্র ৩২টি জেলার মুসল্লিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ইজতেমার মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এবার ৮ স্তরে আইনশৃংখলা বাহিনীর ৭ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, দু’পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কর্মকাণ্ড সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করা হচ্ছে।