পুলিশকেও জবাবদিহি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদস্যদের নিজেদেরকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘পুলিশকে আমি সবসময় আইনের রক্ষকের ভূমিকায় দেখতে চাই। দেশের প্রচলিত আইন, সততা ও নৈতিক মূল্যবোধই হবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথনির্দেশক। আপনাদের মনে রাখতে হবে সফলতার জন্য আপনারা যেমন পুরস্কৃত হবেন, তেমনি প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহিও নিশ্চিত করতে হবে।’ গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী  সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলেন, এ দেশের মাটিতে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের স্থান হবে না। আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে পরিবার, নারী, যুবসমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য বড় হুমকি। একজন সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। পুলিশ সদস্যদের নিজেদেরকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ যত সমৃদ্ধ হবে, দেশকে আমরা তত উন্নত করে তুলতে সক্ষম হবো। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমরা চাই বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্তভাবে গড়ে তুলবো। কারও কাছে হাত পেতে নয়, মাথা নত করে নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রতিটি পুলিশ সদস্য অসহায় ও বিপন্ন মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সাহায্যের হাত বাড়াবেন। জাতির পিতা আপনাদের বলেছেন, আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ। জনগণের প্রতি আপনাদের কর্তব্য অপরিসীম। তাই আপনাদের নিজেদেরকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশকে আমি সব সময় আইনের রক্ষকের ভূমিকায় দেখতে চাই। দেশের প্রচলিত আইন, সততা এবং নৈতিক মূল্যবোধই হবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথ নির্দেশক।’ তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে- সফলতার জন্য আপনারা যেমন পুরস্কৃত হবেন, তেমনি প্রতিটি কাজের জন্য জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ‘আইজিপি কমপ্লেইন সেল’ স্থাপন করা হয়েছে যা পুলিশ সদস্যদের পেশাগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী এ সময় পুলিশের দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, পুলিশ অন্যান্য সংস্থার সাথে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদানে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। ১০ লাখ মানুষ আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।