বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আজ ১০ জানুয়ারি। ৪৬ বছর আগে আজকের এইদিনে পাকিস্তানের কারাগারমুক্ত হয়ে স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্ত স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসার ঘটনা ছিলো বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়ের পূর্ণতা। সেইদিন তিনি রেসকোর্স ময়দানে বলেছিলেন, এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি তার বাংলার মানুষ পেট ভরে খেতে না পায়, মা-বোনেরা কাপড় না পায়।
‘স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র’। তিনটি মাত্র শব্দ, কিন্তু তার ওজন কল্পনাতীত। বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী নদীমাতৃক এই বদ্বীপের মানুষের মন ঊর্বর পলিমাটির মতোই নরম-কোমল। হাজার বছর ধরে বাংলার সরলতার সুযোগ নিয়ে ভিনদেশিরা ছলে-বলে-কৌশলে এই জনপদকে পদানত করে রেখেছিলো। যুগে যুগে নানা শতকে গুপ্ত, সেন, তুর্কি, মুঘল, ইংরেজরা পরাধীন রাখার পর সর্বশেষ চেপে বসে পাকিস্তানি শাসকরা। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পূর্ব দিগন্তে যে নতুন সূর্য উদীত হয়, তখনই শুরু হয় এই দেশের উত্তরণ ও উন্মেষের নবযাত্রা।
স্বাধীন ভূখ-কে যিনিই শাসন করুন, মনে রাখতে হবে, উন্নয়নের বীজবপন মূলত মহান স্বাধীনতার ভেতর দিয়েই। আর সেই বীজের রোপণকারী অবশ্যই বঙ্গবন্ধু। ফলে তার অর্জন চিরকালই অন্য সকল কিছুর ঊর্ধ্বে উচ্চারিত হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এইদিনে নব উদ্যোমে শপথ হোক সোনার বাংলা গড়ার।