শীতের কারণে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারন নেই

জীবননগর ব্যুরো: তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার ফলে বোরো বীজতলা (পাতু) কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস। গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘ জীবননগরে শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত, বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত উপজেলার কৃষকরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নাইম আল সাকিব এবং জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ জীবননগর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের মাঠে বোরো বীজতলা ঘুরে দেখেন এবং কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্তের পর বীজতলার পরিচর্চা নিয়ে চাষিদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উপজেলার কিছু বোরো বীজতলা (পাতু) কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এতে শঙ্কিত হয়ার বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা কেটে গেলে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত সমস্ত চারা আবার আগের মত ভালো হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বোরো বীজতলার পানি প্রতিদিন ভোরে পরিবর্তন করে দিতে হবে। ভোরবেলা বীজতলায় চারার আগা থেকে শিশির ফেলে দিতে হবে। রাতে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। বীজতলায় ধানের চারার গোড়া পর্যন্ত ছাই দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং আক্রান্ত বীজতলায় থিয়োভিট জাতীয় ওষুধ ¯েপ্র করতে হবে। তবে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজতলার চারা এক সপ্তাহের মধ্যে জমিতে রোপণ করা যাবে না।