উন্নয়ন তরান্বিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও ভালো কাজে পৌর পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নব নির্বাচিতদের পৌর মেয়রসহ কাউন্সিলরদের ফুলেল শুভেচ্ছা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে সকল সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘পূর্বের ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শুরুর সময় যেভাবে সকলের সহযোগিতা পেয়েছিলাম, এবার ১০ কোটি টাকার কাজের শুরুতেও সেই সহযোগিতা চাইবো। এবারের পাওয়া ১০ কোটি টাকার প্রকল্পে রয়েছে পৌরসভা কর্তৃক নিরাপদ পানি সরবরাহের মান বৃদ্ধি করা।’ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে পুরো পরিষদকে সাথে নিয়ে পৌর মেয়র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিত হন। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ পৌর মেয়রসহ সাথে থাকা সকল কাউন্সিলরকে অভিনন্দন জানান। পরিচয় পর্ব শেষে তাৎক্ষণিক মতবিনিময় সভার মধ্যমণি হয়ে ওঠেন মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সেক্রেটারি রাজীব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি। ফুলের শুভেচ্ছা পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা ও কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, শাহিনা আক্তার, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, মুন্সি রেজাউল করিম খোকন, জাহাঙ্গীর আলম-১, আবুল হোসেন ও রাশেদুল হাসান মানু প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সহ-সভাপতি শেখ সেলিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, পৌরবাসী আমাকে সেবক হিসেবে ভোট দিয়েছেন। প্রতিশ্রুতি মতো দায়িত্ব পালনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পৌরসভার উন্নয়ন তথা পৌর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি নেই। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঢাকায় যাওয়া-আসা অতিব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রকল্প পাওয়ার স্বার্থে ওদিকেও সময় দিতে হয়। ফলে পৌরবাসীকে ছেড়ে কিছু সময় তো থাকতেই হয়। আর সেটা করছি বলেই একের পর এক নতুন প্রকল্প পেয়ে তা করে যচ্ছি। আর পৌরসভাকে শুধু জনপ্রতিনিধি বা বিশেষ কোনো ব্যক্তিদের জন্য না রেখে সার্বজনীন করা হয়েছে। বর্তমান পৌর পরিষদ সেবার ব্রত নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রতিচ্ছবি ইতোমধেই পৌরবাসী অবলকন করছেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পরিবেশ পাল্টানো সম্ভব হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটির দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে। সহযোগিতায় রয়েছেন বৃত্তবানদের অনেকে।
চুয়াডাঙ্গার সংবাদিক নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বর্তমানে অন্যতম প্রধান সমস্যা যানজট। এ থেকে পরিত্রাণে জরুরি ভিত্তিতে বাইপাস সড়ক প্রয়োজন। বাইপাস সড়কে প্রস্তাবনা অনুমোদন অথবা নতুন নকশা বাস্তবায়নের জন্য দরকার সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা। চুয়াডাঙ্গার এ সমস্যা তুলে ধরে যতোটা সহজে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করতে পারেন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম, অতোটা সহজ পন্থা আর নেই। ফলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সাংবাদিকদের প্রতিটি পদেই সহযোগিতা প্রয়োজন।
আলোচনাপর্ব শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে পৌর পরিষদ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে পুনঃ পুনঃ পরামর্শ কামনা করেন।