ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন দলটির অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। বাংলাদেশের কন্ডিশনের সম্পর্কে অন্যান্য দলের ক্রিকেটারদের থেকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের বেশি জানা। ঢাকার ঘরোয়া লিগগুলোতে একাধিক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহনে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞ করে তুলেছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশে এসে গতকাল মিরপুরের একাডেমিতে অনুশীলন করে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। অনুশীলনে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক অধিনায়ক ক্রেমার বলেন, ‘আমরা ঢাকায় অনেক খেলেছি। কন্ডিশন আগের মতোই, বড় কোনো পার্থক্য থাকবে না। মূল মঞ্চে মাঠে নামার আগে আমরা দু-দিন অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি। কৃত্রিম আলোয় ফিল্ডিংও করব। আমাদের যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে তাদের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। প্রস্তুতি ম্যাচ কোনো ইস্যু হতে পারে না।’

বিপিএলে কিছুদিন আগেই খেলেছেন ক্রেমার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিপিএলে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বেশকিছু খেলোয়াড় সম্পর্কে জেনেছি। এটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। আমার, রাজার (সিকান্দার রাজা) ও ম্যালকমের (ম্যালকম ওয়ালার) অভিজ্ঞতা ত্রিদেশীয় সিরিজে অনেক কাজে দেবে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজে কাকে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমার বলেন, ‘এ মুহূর্তে এটা বলা কঠিন। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রত্যকের নিজেদের পরিকল্পনা থাকে। প্রত্যেক দলেই ভালোমানের স্পিনার রয়েছে। পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে সেরা দলের সম্ভাবনা থাকবে। নিজেদের দিনে যেকোনো দল জিততে পারে। খুব ভালো ত্রিদেশীয় সিরিজ হবে।’

বাংলাদেশে-জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে রেকর্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক ক্রেমার বলেন, ‘এখানে রেকর্ড ভালো হলেও অনেক সময় বাংলাদেশে সফর করা বেশ কঠিন। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দুর্দান্ত। আমি মনে করি আমাদের দলটি অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যের মিশেলে গড়া একটি দল। অনেকেই এখানে দীর্ঘদিন খেলেছে। আমরা বাংলাদেশের সামর্থ্য সম্পর্কে অবগত। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ থেকে আমাদের আত্মবিশ্বাস নিতে হবে।’ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। বাংলাদশের বিপক্ষে ৩৬ ম্যাচে তাদের জয় ১১টিতে। হেরেছে ২৫টিতে।