বাংলার সংস্কৃতি এগিয়ে নিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে

আলমডাঙ্গার জাহাপুরে খোদাবকস শাহের মৃত্যুবার্ষিকীতে দুদিনের স্মরণোৎসবে শেখ সামসুল আবেদীন খোকন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জাহাপুরে বাউল সাধক একুশে পদকপ্রাপ্ত খোদাবকস শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনব্যাপী স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১২টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও বাউল গানের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। খোদাবকস শাহের একমাত্র পুত্র প্রখ্যাত বাউল আব্দুল লতিফ শাহ ও পুত্রবধু রেখা শাহ অতিথিদেরকে স্বাগত জানান। আজ সোমবার দুদিনের স¥রণ উৎসবের আয়োজন শেষ হবে। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান, মাফলুকাতুর রহমান সাজু, খলিলুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার গোলাম মোস্তফা খান ও শহীদ খান, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাউল গঞ্জের শাহ, আব্দুল লতিফ শাহ, রেখা পারভীন ও তানিয়া বিশ্বাস।
এদিকে দুদিনের এই উৎসবকে ঘিরে খোদাবকস শাহের সমাধি চত্বরে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বাউলদের সমাগম ঘটেছে। বসেছে গ্রামীণ মেলা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত জেলার একমাত্র বাউল সাধক খোদাবকস শাহ একজন বরেণ্য ব্যক্তি। তার পুত্র লতিফ শাহ মনের মানুষ ছায়াছবির খ্যাতনামা শিল্পী। বাংলার সংস্কৃতি এগিয়ে নিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় সাধক খোদাবকস শাহ’র একমাত্র ছেলে আব্দুল লতিফ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এ সময় বাংলা একাডেমির ফোকলোর বিভাগের সহকারি পরিচালক ড. সায়মুন জাকারিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ফ্র্যান্স থেকে আগত জেরিনি ফ্র্যান্স ও ঝিনাইদহ থিয়েটারের সভাপতি একরামুল হক লিকু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মহির ফকির ও নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। খোদাবকস সাঁঈ স্মৃতি সংসদ ও তার অগণিত ভক্ত অনুরাগীরা প্রতিবছরই তার জন্ম ও মৃত্যুদিন পালন করে আসছে। তিনি জীবদ্দশায় ৯৫০টি গান রচনা করেন। তার মাজারটি এখনও অযন্ত অবহেলায় পড়ে আছে। জাহাপুরে কবির সমাধিস্থলকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং কবির জন্ম-মৃত্যু দিবস দুটি সরকারিভাবে পালনের দাবি তুলেছেন তার ভক্ত-অনুরাগী ও গুণীজনেরা।