চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের পেছনে ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের ধাক্কায় শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার: বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ভাণ্ডারদহ গ্রামে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নের খেজুরা খালপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলী ম-লের স্ত্রী সুবারন নেছা (৬২) তার ছেলে ইজিবাইক চালক মন্টু (৩৮) স্ত্রী রেখা খাতুন (৩৫) মন্টুর মেয়ে শিখা খাতুন (৪) সুবারন নেছার বোন জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ছিফারন নেছা (৪৫) ও ছিফারন নেছার সাড়ে ৪ বছর বয়সী নাতনি মরিয়ম। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা পরিবারের সবাই মিলে ইজিবাইকে চড়ে খেজুরা গ্রামে যাওয়ার পথে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া দ্রুতগামী পরিবহন রয়েল এক্সপ্রেসের ধাক্কায় আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মরিয়মকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুবারন নেছা তার এক বোনের মৃত্যু সংবাদ শুনে পরিবারের সকলকে নিয়ে তার ছেলে মন্টুর ইজিবাইকে চড়ে খেজুরা গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে খেজুরা গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের ছয়মাইল ভাণ্ডারদহ নামক স্থানে পৌঁছুলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস তাদের ইজিবাইককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরিবহনের ধাক্কায় ইজিবাইকের ৬ জন যাত্রী পাকা সড়কে ছিটকে পড়ে আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে মরিয়মের মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মরিয়মকে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। আজ ঢাকায় নেয়া হতে পারে। দুর্ঘটনা কবলিত রয়েল এক্সপ্রেসের বাসটি পুলিশ আটক করলেও বাস মালিক পক্ষ ও আহতদের পরিবারের লোকজনের সাথে আপস মীমাংসা হওয়ায় বাসটি ছেড়ে দেয়া হয়।