দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্নস্থান পরিদর্শনকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করাতে হলে মাদক এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। মাদকের সাথে কোনো আপোষ হবে না। কারণ মাদক যুব সমাজকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশ তথা পুরো জাতিকে পিছিয়ে দেয়। এছাড়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নারী শিক্ষার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের ছেলেদের মতোই সমান সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তাদের স্কুলে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যাতে উত্ত্যক্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সর্বোপরি দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে। গতকাল বুধবার দামুড়হুদায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া।
এর আগে সাবেক এটিও ও খুলনা বিভাগীয় স্কাউটের চীপ হাজি রেজাউল হকের কবর জিয়ার করেছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি কবরস্থানে তিনি কবর জিয়ারত করেন। এসময় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে বেলগাছি কবরস্থানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূরজাহার খানম, এসডিসি সুচিত্র রঞ্জন দাস, পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি ও জেলা স্কাউটসের সম্পাদক আব্দুল হান্নান প্রমুখ। পরে তিনি জেলা মাদকদ্রব্য অধিদফতর অফিস পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভাগীয় স্কাউটসের অনুষ্ঠান চালাকালীন সময় হাজি রেজাউল হক হৃদক্রিয়াযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যান।
অপরদিকে, জীবননগর উপজেলার ভূমিহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য নির্মিত মনোহরপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দামুড়হুদা উপজেলার সকল দফতর প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া। তিনি উপজেলার সার্বিক কার্যক্রম প্রকাশের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার নানাবিধ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়া উদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মোহা. রফিকুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ, উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব উল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী (দূর্যোগ) মো. নুরুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সমাজসেবা অফিসার ছানোয়ার হোসেন, একাডেমিক সুপার ভাইজার রাফিজুল ইসলাম, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মোহা. ইনামুল করীম ইনু, নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে বিভাগীয় কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার ভূমিহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য নির্মিত মনোহরপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া। গতকাল বুধবার দুপুরে আশ্রয়ন পরিদর্শনকালে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরগুলো মেরামত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আশ্রয়নের বাসিন্দাদের বিনোদনের জন্য নির্মিত ক্লাবঘরটিও সংস্কার করাসহ আবাসনের বাসিন্দাদের জীবনমানের উন্নয়ন করার নির্দেশ দেন। আবাসনের বাসিন্দাদের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০টি দোকান ঘর নির্মাণ ও টহ বাজার বসানো হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মনোহরপুর আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার ফরহাদ আহমদ, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, ইউএনও সেলিম রেজা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ও জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান এ সময় তার সাথে ছিলেন। উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর সমীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা পল্লি জীবিকায়ন প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা শামনুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী পল্লি উন্নয়ন অফিসার শহিদুল্লাহ লিমন, মনোহরপুর ইউপি সচিব লিয়াকত আলী, ইউপি সদস্য গোলাম রসুল, যুবলীগ নেতা আকিমুল ইসলাম, আবাসন প্রকল্প সমবায় সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মহরার মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।