জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে দর্শনায় দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন

আ. হান্নান ছোট উপজেলা সভাপতি হযরত আলী সাধারণ সম্পাদক : আশরাফ আলম বাবু পৌর সভাপতি শেখ আসলাম আলী তোতা সাধারণ সম্পাদক
দর্শনা অফিস: দীর্ঘ দু’যুগ পর অবশেষে জমকালো আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দর্শনায় দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন মঞ্চে যেমন ছিলো নেতৃবৃন্দের সরব উপস্থিতি, তেমনি নেতাকর্মীদের মুর্হুমুহু স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সম্মেলন চত্বর। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার যুবলীগের নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিলে মিছিলে সভা চত্বরে সমবেত হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠা শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পৌনে ১২টার দিকে সভামঞ্চে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ অতিথিদের আসন গ্রহণের পালা শেষেই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুল কবির ইউসুফের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আলোচনা পর্বের সূচনা হয়। শান্তির পায়রা অবমুক্ত করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, যুবলীগ জাতির জন্য একটি বড় সম্পদ। যেখানেই সঙ্কট অরাজকতা অন্যায় সেখানেই নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। যুবরাই মুক্তিযুদ্ধে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমরণ লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে অর্জন করেছিলো আজকের স্বাধীনতা। জাতির প্রাণ এখন যুবলীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সার্বক্ষণিক কাজ করছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। যুবলীগ একটি আন্দোলন সংগ্রাম ও ইতিহাসের নাম। যুবলীগকে বাদ দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যদিয়ে এ দেশে আ.লীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধীরা। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আ.লীগ সংগঠিত হয়েছিলো দেশের আপামর জনতাকে সাথে নিয়ে। যখনই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তখনি দেশের উন্নয়নসহ সুখে-শান্তিতে বসবাস করেছে এ দেশের মানুষ। যার নজিরবিহীন উদাহরণ বিগত ৯ বছর। দেশের উন্নয়নের জোয়ার দেখে খালেদা জিয়ার জ্বালাওপোড়াও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে যুবলীগ। যুবলীগকে অবশ্যই সুসংগঠিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শীক্তশালী করতে হবে। সম্মেলনের আয়োজক চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। সে থেকে যুবলীগ সমাজ দেশ তথা জাতির উন্নয়নে কাজ করে আসছে। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির রয়েছে বর্ণাঢ্য ইতিহাস। যেখানেই অত্যাচার অনাচার ও অরাজকতা, সেখানেই রুখে দাঁড়িয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দেশে সবধরনের আন্দোলন কর্মসূচিতে যুবলীগের ভূমিকা অপরিসীম। যুবলীগের কাছে জাতির অনেক আশা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যখন বিশ্ব দরকারে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তখনি, জামায়াত-শিবির, বিএনপি ও জঙ্গিরা অহেতুক দেশে অরাজকতা সৃষ্টি পাঁয়তারায় মেতেছে। ওদের অরাজকতা রুখে দিতে যুবলীগকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে। জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে সমাজ জাতি ও দেশকে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টির নীলনকশা তৈরিতে মেতেছেন। খালেদা জিয়ার জ্বালাওপোড়াও রাজনীতিতে দেশবাসী অতিষ্ঠ। তাই দেশের মানুষ পরপর দু’বার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে হবে। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল কবির ইউসুফের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কায়ছার আহমেদ, সহসম্পাদক রফিকুল ইসলাম, হাশেম রেজা, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, জেলা আ.লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। উপজেলা যবুলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আব্দুল হান্নান ছোটর উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জেল হোসেন তপু। উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফ, আলী মুনসুর বাবু, হাজি জয়নাল আবেদীন, আবু সাঈদ খোকন, বরকত আলী, অ্যাড রফিকুল ইসলাম রান্টু, দাউদ আলী, মোমিনুল ইসলাম, আ. রফিক কাবি, মোশাররফ হোসেন, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের নবাগত সভাপতি আব্দুস সালাম ঈশা, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, যুবলীগ নেতা হযরত আলী, আশরাফ আলম বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, মোস্তাফিজুর রহমান মতি, মামুন শাহ, ইকবাল হোসেন, সোলায়মান কবির, রওশন রহমান, নিশান তরফদার, হবা জোয়ার্দ্দার, অহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মনির সরদার, রেজাউল করিম, আব্দুস সালাম ভুট্টো, আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তাফিজুর রহমান কচি, হাসানুজ্জামান পিন্টু, সোহরাব হোসেন, শাহীন উদ্দিন, জাকির হোসেন, সাহেব আলী, সেলিম উদ্দিন খুশি, আসাদুল হক, আশরাফুল ইসলাম, সেলিম মেম্বার, হাবিল মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিক, সাজু আহমেদ রিংকু, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, কামরুজ্জামান লোমান, আলামিন, অপু সরকার, রায়হান, প্রভাত, মোহাম্মদ আলী, মিল্লাত প্রমুখ। আলোচনা শেষে দর্শনা অংকুর আদর্শ বিদ্যালয় চত্বরে ইউনিয়নের কাউন্সিলরদের নিয়ে কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করেন নেতৃবৃন্দ। বিকেল ৩টার দিকে সভামঞ্চে কমিটির নাম ঘোষণা করেন আসাদুল হক আসাদ। দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ আলম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতার নাম উল্লেখ করে আসাদুল হক আসাদ বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের ৮১ সদস্য ও দর্শনা পৌর যুবলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তালিকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতরে।