কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর পাওয়া গেলো লাশ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যাকে তিন দিন আগে ঝিনাইদহ থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছিলো বলে পরিবারের অভিযোগ। নিহত তৌহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন মোল্লার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মহিষাডাঙ্গা এলাকায় পুলিশের সাথে গোলাগুলির মধ্যে তিনি নিহত বলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সড়কে গাছের সাথে দড়ি বেঁধে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গায় অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছু সময় গোলাগুলি চলার পর একপর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাত সদস্যকে পাওয়া যায়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে কুষ্টিয়া শহরের পদ্মা প্রিন্টার্সের মালিক শহিদুল ইসলাম মর্গে এসে লাশ দেখে জানান, নিহত ব্যক্তি তার ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম। শহিদুল বলেন, তার ভাই শৈলকূপায় ছোটোখাটো ব্যবসা করতেন। তিন দিন আগে একদল লোক বাড়িতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে যখন যোগাযোগ করলাম, ডিবি পুলিশ গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করলো। তিন দিন ওর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না।

এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়ায় ডিবি পুলিশের ওসি সাব্বিরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম, কনস্টেবল আহাদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।  ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি বন্দুক, গাছ কাটার একটি করাত ও মোটা দড়ি উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।