ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ : ৯ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মাঝে এ ঘটনার ৯ দিন পার হয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সাড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

এদিকে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান। তিনি ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আসামিরা যত শক্তিশালী হোক না কেনো রেহাই পাবে না। এসময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান একান্তে পাশবিক নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর সাথে কথা বলে আসামিদের গ্রেফতারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে নির্দেশ দেন। ধর্ষণের পরই ৪ ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে ৪ জন ধর্ষণ করলেও মামলা হয়েছে ধর্ষিতার প্রেমিকা রাজনসহ ২জনের নামে। সেও দশম শ্রেণির ছাত্র। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া এলাকা ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দ্রুত এ মামলার সাফল্য পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, ২৪ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙে একই গ্রামের নবিছদ্দির ছেলে মিল্টন, ঝান্টুর ছেলে মিন্টু, আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম ও ইমরুলের ছেলে রাজন ওই স্কুলছাত্রীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর দল বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে মেয়েকে বাড়িতে রেখে যায়। গত বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও ক্রটিপূর্ণ হওয়ায় গত সোমবার আবারও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মামলায় ৪জনের পরিবর্তে ২জনকে আসামি করার পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত আছে বলে পরিবারটি দাবি করে আসছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ২জন আসামিকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে ধর্ষিতার পিতা অভিযোগ করেন। ধর্ষকদের বাঁচাতে একটি চক্র নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে এমনও শোনা যাচ্ছে। ৫ লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। তবে পুলিশ সুপারের দফতর থেকে কঠোরভাবে বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।