জীবননগরে সবজি ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা  জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অধিকহারে সবজি উত্পাদনের লক্ষ্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বছর এ উপজেলায় কয়েকটি কীটনাশক ওষুধ কোম্পানির কোটি টাকার ওপরে কীটনাশক বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, মারশালের মূল উপাদান কার্বোসালফান। বোতলের গায়ের লেবেলে লেখা আছে ‘সাবধানতা’ এটি প্রয়োগের ২১ দিনের মধ্যে ফসল খাওয়া যাবে না। বেগুনের মাজরা পোকা দমনে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। সানটাপ ও কারটাপ ব্যবহার করা হয় পটোল, ঢেঁড়শ, টমেটো ও বেগুনের ডগা এবং ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে।’ এটিরও বোতলের গায়ে লেখা আছে ‘সাবধানতা: ব্যবহারের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে ফসল খাওয়া যাবে না।’ অথচ এসব নিয়মের প্রতি তোয়াক্কা না করে চাষিরা কীটনাশক স্প্রে করার এক থেকে দুই দিন পরই ক্ষেত থেকে সবজি তুলে তা বিক্রির জন্য বাজারজাত করছেন। এ সবজি খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। উপজেলার উথলী, সেনেরহুদা, মৃগমারী, দেহাটি, কাশিপুর, মুক্তারপুর, মিনাজপুর, কুলতলা, কাশিপুর, আন্দুলবাড়িয়া, বেনিপুর, গয়েশপুর, নুতনপাড়া, সদরপাড়া, ধোপাখালী, মনিকপুর, বৈদ্যনাথপুর, কাটাপোল, বালিহুদা, করিমপুর, শ্রীরামপুর, সুটিয়া, বাঁকা এলাকায় ব্যাপকভাবে সবজি চাষ করা হয়েছে। আর এসব সবজি ক্ষেতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিষযুক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অধিক হারে কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে সবজিক্ষেতে কৃষকদের আইপিএম পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমন করতে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রায়শ মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মারশাল ও রিজেন্টের মতো তীব্র বিষযুক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কীটনাশকমিশ্রিত সবজি খাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ পেটের পীড়াসহ লিভার ও জন্ডিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’