অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরলো জিম্বাবুয়ে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রেন্ডন টেইলরের অসাধারণ ১২৫ রানের সুবাদে আফগানিস্তানকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৫৪ রানে পরাজিত করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টেইলরের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তুলে। ক্যারিয়ারে এটি টেইলরের নবম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। এরপর বল হাতে গ্র্যায়েম ক্রিমারের ৪১ রানে ৪ উইকেট প্রাপ্তিতে আফগানিস্তানের ইনিংস ৩০.১ ওভারে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায়। দুটি দলই আগামী মাসে জিম্বাবুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ আইসিসি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই সিরিজে অংশ নিচ্ছে। আফগান তারকা বোলার রশীদ খানের বলে বোল্ড হবার আগে চতুর্থ উইকেটে সিকান্দার রাজাকে সঙ্গে নিয়ে টেইলর ১৩৫ রানের ম্যাচ জয়ী পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন। ম্যাচ সেরা টেইলর ১২১ বলে ৮টি ওভার বাউন্ডারি ও ৫টি বাউন্ডারির সহায়তায় ১২৫ রান সংগ্রহ করেছেন। অল-রাউন্ডার রাজা ৭৪ বলে চারটি ওভার বাউন্ডারি ও ১৩টি বাউন্ডারির সহায়তায় করেছেন ৯২ রান। ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার রশীদ ৩৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। কিন্তু আফগান পেসারদের উপর পুরোপুরি রাজত্ব করেছেন টেইলর ও রাজা। দওলাত জারদান ও গুলবাদিন নাইব মিলে ১৭ ওভারে দিয়েছেন ১৮১ রান। শারজাহ স্টেডিয়ামে ৩৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা কখনই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। বিপদজনক মোহাম্মদ শাহজাদ ১৫ রানেই ফিরে গেছেন। ১০ ওভার শেষে আফগানদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩৬। ইন-ফর্ম মোহাম্মদ নবী প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ’র সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন। কিন্তু দলীয় ২১তম ও নিজের প্রথম ওভারেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রিমার পরপর দুই বলে নবী (৩১) ও গুলবাদিন নাইবের (০) উইকেট তুলে নিলে আফগানিস্তানের পরাজয় সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ উইকেটে ১৬ বছর বয়সী মুজিব উর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দওলাত জারদান ৬৪ রান যোগ না করলে পরাজয়ের ব্যবধানটা হয়ত আরো বাড়তে পারতো। শুক্রবার এই একই ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করেছিল আফগানিস্তান। আগামী ৬ মার্চ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে গ্রুপ-বি’র লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে এই দুই দল আরব আমিরাতে আরো তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিবে।