সড়ক উন্নয়ন কাজের মাটি সরলেও পৌরড্রেনের মাটি বাড়াচ্ছে দুর্ভোগ

৫ শতাধিক ল্যান্ড টেলিফোন অকেজো থাকায় গ্রাহকরা পড়েছেন বিপাকে: প্রতিকার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টমোড় থেকে সিনেমা হল রোডে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক উন্নয়ন কাজের মাটি তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকাদার সরিয়ে নিলেও দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ উন্নয়ন কাজের মাটি। শহরের কেদারগঞ্জ এলাকায় মাটির স্তূপের ফলে যান চলাচল যেমন অসুবিধা হচ্ছে তেমনই পৌরসভার লক্ষাধিক নাগরিক চরম অসুবিধা ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। তবে শহরের মধ্যে শহীদ আবুল কাশেম সড়কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়লেও নির্মাণ কাজ চলছে দেখে আশ্বস্ত সাধারণ মানুষ। যদিও পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঠিকাদার পানি না ছেটানোর কারণে ধুলোয় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পানি উন্নয়ন কাজের সম্প্রসারণের ফলে কোর্ট এলাকা থেকে ভিমরুল্লাহ পর্যন্ত এবং বড়বাজার এলাকায় বিটিসিএল’র তার কেটে দীর্ঘ ৪ মাস যাবত বিটিসিএল’র লাইন অকেজোর ফলে সংযোগ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে ৫ শতাধিক ল্যান্ড টেলিফোন গ্রাহক। বিকল টেলিফোন চালুর দায়িত্ব কার? প্রশ্ন তুলেও জবাব মিলছে না। অপরদিকে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ৪১ দিনের ধর্মীয় কাজে দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার বাইরে অবস্থান করছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেন উন্নয়ন নির্মাণ কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে শহরে কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে কেদারগঞ্জ ফিরোজ রোড মোড় হতে ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল পর্যন্ত মাটির বড় বড় স্তূপের ফলে যান চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনই বাড়ছে রোগ বালাই। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় ঠিকাদার ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের কোনো দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে গত রোববার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ দ্রুত মাটি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন এবং বিটিসিএল’র টেলিফোন সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তারপরও ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে মাটি সরানো হয়নি।
একইভাবে গত ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকায় পৌরসভার পানি সম্প্রসারণ কাজের সময় বিটিসিএল’র তার কাটা পড়ে। সেই থেকে কোর্ট এলাকার সকল অফিস আদালত, বাসা-বাড়িসহ ৪ শতাধিক টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে, গ্রাহকরা মাসের পর মাস সরকারকে টেলিফোন বিল পরিশোধ করলেও বিটিসিএল এবং চুয়াডাঙ্গার দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা কেউ কিছুই করেননি। এমনকি অনেকে জানেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজি শরিফুল ইসলাম ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মহোদয় ধর্মীয় কাজের জন্য ৪১ দিনের ছুটি চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ছুটির আবেদন করেছেন। আগামী মার্চ মাসের প্রথম দিকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরবেন।
স্থানীয় ঠিকাদার শরীফ উদ্দিন দুদু বলেন, গতকাল সোমবার কিছু মাটি সরানো হয়েছে। যান চলাচলের কারণে মাটি সরাতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে কাল (মঙ্গলবার) মাটি সরিয়ে দেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক-ডিডিএলজি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টেলিফোন বন্ধের বিষয়টি বিটিসিএলকে জানানো হয়েছে। পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ কাজের মাটি রাস্তায় আছে। তবে, পৌর মেয়র ছুটিতে গেলেও অফিসিয়ালভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে শুনেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরীর মোবাইলটি সংযোগ পাওয়া যায়নি। চুয়াডাঙ্গা বিটিসিএল’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইফতিখার মাহমুদ বলেন, তার কাটার সমস্যা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও সড়ক বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কোনো কর্ণপাত করছে না। কবে নাগাদ একাজ হবে তা তিনি জানেন না। বর্তমানে বিয়ের কারণে তিনি ছুটিতে আছেন।