সফল হোক চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন

এপার বাংলা ওপার বাংলার গুণিজনদের পদচারণায় চুয়াডাঙ্গা আজ ধন্য। যে প্রতিষ্ঠানটির সৌজন্যে এই ধন্য হওয়ার সুযোগ তার নাম চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবত চুয়াডাঙ্গায় কতোজনকেই না গুণান্বিত করেছেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ যেন অভিন্ন এক আত্মা। হবেই তো, যে শিক্ষালয় গুণিজনদের পদচারণায়, গুণিজনদের ছোঁয়ায় আলো ছড়ায়, সেই সাহিত্য পরিষদের সাথে যারা একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের আত্মা-সত্ত্বা কি অভিন্ন বলা চলে?
চুয়াডাঙ্গা সহিত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনের যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছোট্ট একটি শহর থেকে তা বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখা দুঃসাহস বটে। যদিও সাহিত্য পরিষদের কাছে যাদের ঋণ তাদের গুচ্ছ গুচ্ছ না হলেও তুচ্ছ সহযোগিতাও যে আরও বড় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মতো হিম্মৎ দেখাতে পারে তা বলাই বাহুল্য। তবুও বাস্তবতা বলে একটা কথা আছে। যে বাস্তবতা ঋণগ্রস্তদেরও ব্যস্ত করে ভুলিয়ে রাখে যেমন ঋণের কথা, তেমনই নেতৃত্বে অপূর্ণতাও ঋণ পরিশোধে অনাগ্রহের কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের পরিষদসহ সকল সভ্য ৪০ বছর পূর্তিতে যে উৎসবে মাতোয়ারা, তাতে সকলে। এপার বাংলা ওপার বাংলা শুধু নয়, ধরিত্রীর বুকে বাংলা সাহিত্য চর্চায় যে যেখানেই মত্ত এ উৎসব মূলত তাদের সকলেরই। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের রঙ ছড়াতে যাদের সহযোগিতা তাদের সকলকে দৈনিক মাথাভাঙ্গার তরফে কৃতজ্ঞতা। পরিষদের উৎসবে মেতে উঠতে যাদের আগমন আজ চুয়াডাঙ্গায়, তাদের প্রতি শুধু কুর্নিশ নয়, বুকভরা ভালোবাসা। সফল হোক আয়োজন।
পুনশ্চ: দৈনিক মাথাভাঙ্গার ভ্রণ সাহিত্য পরিষদের আঙিনা থেকেই কুড়িয়ে পাওয়া।