আসন্ন দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বাষিক নির্বাচন

অবৈধ ভোটার না করার দাবিতে লিখিত দাবিনামা পেশ
দর্শনা অফিস: গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান পরিষদের মেয়াদকাল শেষ হলেও সাধারণসভা হয়নি এখনও। আগামী ২১ মার্চ সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সাধারণসভায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভোটারদের মাসিক চাঁদা পরিশোধের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে নতুন ভোটারদের আবেদনপত্র। নিয়ম বহিঃর্ভূতভাবে নতুন ভোটার করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে বর্তমান পরিষদের বিরুদ্ধে। দর্শনা রেলবাজারের ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কাউকে ভোটার না করার দাবিতে লিখিতভাবে দাবিনামা পেশ করেছে সাম্ভাব্য বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও ভোটার। গত ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেন। ফলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান পরিষদের মেয়াদকাল সম্পন্ন হয়েছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকার ভাষ্য মতে, আগামী ২১ মার্চ সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদকাল শেষের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক বর্তমান পরিষদ আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত পরিষদকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ফলে সে পর্যন্ত বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব পালন করবে। মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩ মাস আগে থেকে শুরু করা হয়েছে নতুন ভোটার তালিকা তৈরিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। এছাড়া পুরাতন ভোটারদের ক্ষেত্রে মাসিক চাঁদা পরিশোধ করলে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। অন্যথায় ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়া হতে পারে। এছাড়া নুতন ভোটারদের ক্ষেত্রে দোকান ঘরের চুক্তিনামার ফটোকপি, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, ট্রেড লাইসেন্সসহ ছবি জমা দিতে হবে। গত ৫ মার্চ পুরাতন ভোটারদের মাসিক চাঁদা পরিশোধ সাপেক্ষে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করণের দিনক্ষণ শেষ হয়েছে। পুরাতন ভোটার তালিকা অনুযায়ী ৯৮৮ জন ভোটারের মধ্যে মাসিক চাঁদা পরিশোধ করেছে ৭২১ জন। তবে নির্ধারিত সময়ে চাঁদা পরিশোধ করেছে আরও ৫০-৬০ জন ভোটার। তাদেরকে ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ দিকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন শতাধিক ব্যক্তি ৫শ’ টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তাদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ভোটার করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন। এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতির ভোটার তালিকায় বহু বহিরাগতর নাম রয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার। এছাড়া নতুন করে ভোটারের জন্য আবেদনকারীদের সিংহ ভাগই অবৈধ। অনেকেরই কোনো প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও ভোটারের জন্য আবেদন করেছে। কোনোভাবেই যেন অবৈধভাবে কাউকে ভোটার করা না হয় সে মর্মে ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত আবেদনপত্র গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জমা দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আসন্ন নির্বাচনে সাম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী টিপু সুলতান, হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনজুর মোর্শেদ, সেলিম মেহমুদ লিটন, ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, রেজা আল মামুন, সোহাগ হোসেন, আজিজুল ইসলাম, শ্রী বাবলু স্বাক্ষরিত পত্রের স্মারকলিপি বিভিন্ন দফতরে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন টিপু সুলতানসহ ব্যসায়ীরা।