৬ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার : আজ প্রতীক বরাদ্দ

আলমডাঙ্গা ও জীবননগরের ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ২৯ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার দুটি ও জীবননগরের তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আইলহাস ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে আবু হানিফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপরই শুরু হবে প্রার্থীদের জোর প্রচারণা। জেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। নির্বাচনে ৬১ হাজার ১৩৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩০ হাজার ৬৫৮ এবং নারী ভোটার ৩০ হাজার ৪৭৮ জন ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকৃতরা হলেন চেয়ারম্যান পদে আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের খোন্দকার বজলুল করিম ও আব্দুর রশীদ এবং সাধারণ সদস্য পদে ১ জন। আইলহাস ইউপির সাধারণ সদস্য পদে ১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। জীবননগরের বাঁকা ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হাশেম ও সাখাওয়াত হোসেন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। হাসাদহ ইউপির সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রায়পুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে সাজ্জাত বিশ্বাস ও সাইদুর রহমান ও সাধারণ সদস্য ১ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
নাগদাহ ও আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছার এবং জীবননগরের বাঁকা, হাসাদহ ও রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাচঁটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমানে ৫টি চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ১৫টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫২ জন এবং ৪৫টি সাধারণ সদস্য পদে ২০০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আগামী ১৪ মার্চ আলমডাঙ্গা ও ১৫ মার্চ জীবননগরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২১ মার্চ আলমডাঙ্গায় ও ২২ মার্চ জীবননগরে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রার্থীরা হলেন আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম আজাদ (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), মকলেছুর রহমান জোয়ার্দ্দার (বিএনপি-ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দারুস সালাম (জামায়াত), আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম (জাকের পার্টি) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন নির্বাচনে লড়ছেন।
আইলহাস ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অ্যাড. আব্দুল মালেক (আওয়ামী লীগ-নৌকা), রকিবুল হাসান (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), আব্দুল ওয়াহাব (বিএনপি-ধানের শীষ) এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দীন বিশ্বাস (বিএনপি-বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং ৮টি সাধারণ সদস্য পদে ২৫ জন নির্বাচনে লড়ছেন। ৩নং ওয়ার্ডে ১ জন প্রার্থী মনেয়নয়নপ্রত্র প্রত্যাহার করায় আবু হানিফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জীবননগরের বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাদের প্রধান (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আবুল কাশেম মুন্সী (বিএনপি-ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৫২ জন নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন না।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রবিউল ইসলাম (আওয়ামী লীগ-নৌকা), মো. সোহরাব বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), কামাল উদ্দীন সিদ্দীকী (বিএনপি-ধানের শীষ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (জামায়াত) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৩ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৫৮ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন (আওয়ামী লীগ-নৌকা), আব্দুর রশীদ শাহ (আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী), মতিয়ার রহমান (বিএনপি-ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আলী (জামায়াত) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ইউপিতে ৩টি সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭ জন এবং ৯টি সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।