অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালো আনসার সদস্য আলমডাঙ্গা ঘোলদাড়ির বাবুল

আহসান আলম: ‘যাবার আগে কিছু বলে গেলে না, নিরবে শুধু রইলে চেয়ে, কিছু কি বলার ছিলো না….।’ বন্ধু সেজে পাশে বসে খাতির জমিয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে সবকিছু নিয়ে যখন খাতির জমানো বন্ধুটি চলে গেল তখন তাকে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে গতপরশু রোববার রাতের কোনো এক সময়। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালো চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি বাজারের নুর ইসলামের ছেলে বাংলাদেশ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য বাবুল আখতার।
তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহের আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত। গত রোববার ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে রাতের কোনো একসময় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার সকালে তারই এক বন্ধু চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র অনিক আলী চুয়াডাঙ্গা একাডেমি মোড় থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় বাবুল আখতারে শয্যাপাশে থাকা অনিক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় চুয়াডাঙ্গা একাডেমি মোড়ে এক অচেতন ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে তার কাছে যায়। তাকে চিনতে পারি এবং হাসপাতালে নিয়ে আসি। বাবুল আখতার অস্পষ্টসুরে বলেন, ঢাকার গাবতলি থেকে উত্তরা পরিবহনে উঠি বাড়ি ফেরার উদ্দেশে। পাশের সিটে বসাছিলো এক ব্যক্তি। তার সাথে বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একসময় অপরিচিত ওই ব্যক্তির দেয়া জুস পান করে অচেতন হয়ে যায় তিনি। বাবুল আখতার আরও বলেন, তার কাছে থাকা মানিব্যাগের ভেতর ১ হাজার টাকার ১৫টি নোট ছিলো, একটা অ্যান্ড্রয়েড ও একটি বাটন মোবাইলফোন ছিলো। অপরিচিত ওই ব্যক্তি তার সবকিছু নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ভোররাতে পরিবহনের সুপারভাইজার বাবুল আখতারকে একাডেমি মোড় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।