সাকিব-সোহানকে জরিমানা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাঠে শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের দায়ে সাকিব আল হাসানকে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। ‘নো’ বল ইস্যুতে কলম্বোতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচের শেষ ওভারে দু’দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসুরু উদানার প্রথম দুই বল বাউন্সার হওয়ার পর টি-টোয়েন্টির নিয়মানুযায়ী আম্পায়ারের ‘নো’ বল কল করার কথা। ম্যাচ জেতানোর নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লেগ-আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ‘নো’ বলের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের প্রতিবাদের পর মূল আম্পায়ারের সাথে আলোচনা করে তা তুলে নেন। এ নিয়েই যতো বিপত্তি। প্রথম বলটি আম্পায়ার বাউন্সার ডেকেছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের বাইরে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

বাংলাদেশের মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দলকে অবিস্মরণীয় জয় উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বল ডট হওয়ার পর চার বলে দরকার ছিলো ১২। শেষ দুই বলে ছয়। ছক্কা হাঁকিয়ে এক বল হাতে রেখে দলকে নিয়ে যান ফাইনালের মঞ্চে। খেলেন ১৮ বলে ৪৩ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস। আজ রোববার শিরোপা লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ভারত। অধিনায়ক সাকিবের সামনে নিষেধাজ্ঞার একটা হুমকি ছিলো, তেমনটা হয়নি। আম্পায়ারের ভুল থেকে ঘটনার উৎপত্তি হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তাই জরিমানার অঙ্কটাও বেশি হয়নি। সাকিবকে জরিমানার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে।

একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান সোহান উত্তেজনার মুহূর্তটিতে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ায় তার ওপরও আরোপ করা হয়েছে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সাকিব ও সোহান নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ এর আর্টিক্যাল ২.১.১ (সাকিব) ও ২.১.২ (সোহান) ভঙ্গ করার সর্বোনিম্ন শান্তি খেলোয়াড়কে অফিসিয়াল তিরস্কার। সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং একটি বা দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট।