২৯ মার্চের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুত সংযোগ বিছিন্ন করার ঘোষণা

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাছে ২১ লাখ টাকার বকেয়া বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়ে ওজোপাডিকো লিমিটেডের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহ্যবাহী ৪৬ বছরের পুরোনো চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩৫ হিসেবের অনুকুলে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বাবদ ২১ লাখ ৭ হাজার ৯৫৫ টাকা আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে ওজোপাডিকো। এ তাগিদ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে বকেয়া বিল পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুত সংযোগ বিছিন্œ করা হবে।
ওজোপাডিকো লিমিটেডের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্ত গীন স্বাক্ষরিত পত্রটি গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরসভায় পৌঁছেছে। পত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, বকেয়াধারী হিসাবসমূহের সংযোগ ২৯ মার্চের পর বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ বিদ্যুত বিছিন্ন করা হলে পৌরসভার সড়ক বাতিই শুধু নিভবে না, পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে, আগামী ২ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার লক্ষাধিক নাগরিক চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়বেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)’র হিসেব অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পানির পাম্প, সড়ক বাতি, শ্রীমন্ত টাউন হল, পৌর জামে মসজিদ, পৌর ভবন ও অফিস ভবনসহ ৩৫টি হিসেবের অনুকুলে ২১ লাখ ৭ হাজার ৯৫৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। এরমধ্যে ৮টি পানির পাম্পে সর্বাধিক ৬ মাস ও অন্যান্য হিসেবে ২ মাস করে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। বকেয়া পাওনার চিঠি প্রধান প্রকৌশলী ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকো লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্ত গীন বলেন, বকেয়া বিল আদায়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। এবার বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার চিঠিটি পেয়েছি। তবে, সড়কবাতির বকেয়া বিল ২ মাস নয়, ১ মাস হবে। ১ মাসের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী রোববার মেয়র মহোদয় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় আসবেন। ওইদিন আলোচনা করে বিল পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।