কালবোশেখি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা : কমপক্ষে ৭ জনের প্রাণহানি

চুয়াডাঙ্গায় রান্না ঘরের টিনের চাল পড়ে একজন আহত : মেহেরপুর গাংনী শিলাবৃষ্টির সময় স্বামীর চিন্তায় স্ত্রী অসুস্থ
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: কালবোশেখি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া হাজার হাজার বাড়িঘর ল-ভ- হয়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষাধিক হেক্টর জমির ফসল ও শাকসবজি। গতকাল শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবোশেখি ঝড়ে এসব ঘটনা ঘটে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কাঁচাঘর বাড়ি, আম, লিচু ও আগাম নতুন ধানসহ গ্রীষ্মকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, মেহেরপুর ও গাংনীসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মাগুরা, পাবনার ঈশ্বরদী, রংপুর, দিনাজপুর ও সিলেটের ওসমানীনগরে ৬জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া যশোরে অভয়নগর উপজেলায় ঝড়ে বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে এক কলেজছাত্রীর মৃতুু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে দেড় শতাধিক। কালবোশেখি ঝড়ের হানায় দেশের নদীবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত।
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের ওপর দিয়েও বয়ে গেছে কালবোশেখি ঝড়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ ধূলিঝড়ে সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দমকা বাতাসে অনেক হালকা যান ও মোটরসাইকেল আরোহীকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। সাধারণ পথচারীরা ছুটোছুটি করে বিভিন্ন দোকানের ছাউনি বা বিল্ডিংয়ের কার্নিশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ো হাওয়ায় সব ল-ভ- করে দেয়ার উপক্রম হলেও বৃষ্টিপাত তেমন হয়নি কোথাও। তবে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বলেছে, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে হালকা বাতাস শুরু হয়। ৪ মিনিটের মাথায় তা থেমেও যায়। এরপর সামান্য বৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টির পর এলাকায় বয়ে যায় শীতল বাতাস। মধ্যচৈত্রের তপ্ত দুপুরের পর বিকেলে দমকা ঝড় বাতাস বৃষ্টির পর শীতল বাতাসে সাধারণ মানুষ স্বস্তির শ্বাস ছাড়লেও বিদ্যুতের আসা যাওয়া গ্রাহক সাধারণকে অতিষ্ঠ করে তোলে। তবে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার ফিডার কিছুটা স্থায়ী হলেও অন্যান্য ফিডারগুলোতে ছিলো বেহাল দশা। বিশেস করে বিজিবি ফিডারে ঝড়ো বাতাসের পর বিদ্যুত পুনঃচালু করতে লেগে বেজে যায় প্রায় সাড়ে ৬টা। হাসপাতাল ফিডারে বিদ্যুত চালু করা হয় সন্ধ্যা ৭টা বেজে যখন ৫ মিনিট তখন। আর কলেজ ফিডার? সন্ধ্যা থেকে আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলো। এ ফিডারে আজ তরা নতুন পিলারে সংযুক্ত করার কাজ করা হবে বলে জানিয়ে বিদ্যুত অফিস বলেছে, আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা কলেজ ফিডারে তথা কলেজ রোড, কেদারগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে ঝড়ো বাতাসে রান্না ঘরের টিনের ছাপড়া উড়ে গায়ে পড়ে আহত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বেলগাছি সিগন্যালপাড়ার সিরাজুল ইসলাম (৪০)। তিনি মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সময় স্বামী মাঠে থাকার কারণে স্বামীর চিন্তা করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রওশন আরা বেগম (৬০)। তিনি মেহেরপুর গাংনীর ভোলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী সুন্নত আলী মাঠে শিলাবৃষ্টির মাঝে কেমন আছেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। রওশন আরাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে আকাশ মেঘলা হয়ে বাতাস শুরু হয়। বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত হলে এলাকার কলাবাগান, ভুট্টাক্ষেত ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি রাস্তার গাছপালা ভেঙে পড়ে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে ল-ভ- বসতবাড়ি আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রচ- ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে বিকেলে ৪টার হঠ্যাৎ শুরু হয় দমকা হাওয়া তার পরপরেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে রোয়াকলি গ্রামে রাস্তার ওপরে একটি শিশুগাছ ভেঙে পড়ে যাওয়ায় চলাচলা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে পথচারিরা। এদিকে গাংনী ইউনিয়নের সাহেবপুরে রমজান মালিথার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও শালিকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হাফিজুর রহমান, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের তারিক হোসেন ছেলে তোতা মিয়ার বসতবাড়ি দমকা হাওয়ায় ল-ভ- হয়েছে। এছাড়াও ধান, তামাক, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দামুড়হুদা/হাউলী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আগাম কালবোশেখি ঝড়ে দামুড়হুদার বিভিন্নস্থানে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে ভেঙে পড়েছে গাছপালা। লোকনাথপুর সহশিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণি কক্ষের টিনসেড দমকা ঝড়ে উঠে গেছে। ভেঙে, গেছে বিদ্যালয়ের সীমানা পাঁচিল। লোকনাথপুর মাঝেরপাড়া জামে মসজিদের মিনার থেকে মাইক পড়ে বিনষ্ট হয়েছে। লোকনাথপুর সহশিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু বলেছেন, বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণি কক্ষের টিনসেড ও ীমানা পাঁচিল ভেঙে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছেন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী জমির উদ্দীন। এছাড়া এলাকার বেশকিছু কৃষক বলেছেন, মাঠে ধানের খুব একটা ক্ষতি না হলেও ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মিনিট দশেকের দমকা ঝড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মটমুড়া বামুন্দী, ষোলটাকা, কাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় কালবোশেখি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আধা ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বহু ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ফসলাদি ও বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানক্ষেত, তামাক, কলা, আম, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে পড়ে যায়। যার কারণে এসব এলাকা বিদ্যুতহীন রয়েছে। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দিয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
যশোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামে ঝড়ে বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে লাইজু খাতুন (১৯) নামের এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। লাইজু যশোর সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি প্রেমবাগ গ্রামের মোস্তাহার হোসেনের মেয়ে।
মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাগুরায় বিকেলে কালবোশেখি ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এছাড়া ঝড়ো বাতাসে গাছপালা এবং অন্তত ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বড় বড় আকারে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সদর উপজেলার ডহরসিংড়া গ্রামের আকরাম হোসেন (৩৫) ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে এলাকাবাসী উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের এক গৃহবধূ জামিলা বেগম (৫০) বাড়ির পাশের লিচুবাগানে ডালপালা কুড়োতে গিয়েছিলেন। তখন শিলার আঘাতে মারা যান তিনি। পরে স্বজনেরা গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইসরাইল হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মওসুমের প্রথম কালবোশেখির তা-বে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রংপুরে। জেলার দু’উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফলসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়ার সাথে শিলাবৃষ্টি হতে থাকে। দমকা হাওয়া এক পর্যায়ে ঝড়ে রূপ নেয়। এ সময় ওই দৃই উপজেলায় বিদ্যুতর তারে স্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিনাজপুরে কালবোশেখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাথায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে পার্বতীপুর উপজেলার চ-ীপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলী (৫৫) মারা গেছেন। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। মারা গেছে অসংখ্য গবাদিপশু। দিনাজপুরে গতকাল শুক্রবার দুপুরে শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় সবকটি উপজেলায় এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হলেও সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ, চিরিরবন্দর। এই কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার একর জমির গম, ভুট্টা, বোরো ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল এবং আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শত শত ঘরবাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সিলেট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সিলেটের ওসমানীনগরে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে ল-ভ- হয়ে গেছে গোটা ওসমানীনগর এলাকা। ঝড়ের কবলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত গাছ উপড়ে পড়ে।
ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা জানান, ঝড়ের তা-বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। এ সময় উপজেলার তাজপুর ইউপির দশহাল গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নূরুল আলমের নির্মাণাধীন ঘরের টিন উড়ে গিয়ে গলা কেটে সাবিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউপির সোনাপুর গ্রামের খালিছ মিয়ার স্ত্রী।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল সিলেটে দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ৩৩ মিলিমিটর রেকর্ড করা হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মিলিমিটার। চুয়াডাঙ্গায় ১ মিলিমিটার। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো রাজশাহী ৩৫ দশমিক ২ ও সর্বনি¤œ সিলেটে ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা তরতর করে নামতে শুরু করে। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে নামে বলে সূত্র জানিয়েছে।