চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর শরীরে ভুলভাবে ইনজেকশন পুশ

মুহূর্তের মধ্যে রোগীর অবস্থা বেসামাল দেখে নিকটজনদের কান্নাকাটি : চিকিৎসকের তড়িৎ পদক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার: ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসকের নির্দেশনা, ইনজেকশনটি দিতে হবে রোগীর মাংসে। তা না মেনে রোগীর শিরায় ওই ইনজেকশন পুশ করায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী সুজনের খিচুনিসহ অবস্থা বেসামাল হয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ভুলভাবে ইনজেকশন পুশ করায় রোগী সুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তথা শিরায় দেয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধকসহ যাবতীয় ব্যবস্থাগ্রহণে বড়ধরনের বিপত্তি থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি জোয়ার্দ্দারপাড়ার রমজান আলীর ছেলে সুজনের (২৮) বুকে ব্যথা দেখা দিলে সদর হাসপতালে নিয়ে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান রোগীর শরীরের মাংসে ডিসোপেন নামের ইনজেকশন দেয়ার নির্দেশনা ব্যবস্থাপত্রে তথা চিকিৎসার টিকেটে লেখেন। ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী সুজনের মাংসে না দিয়ে ইনজেকশনটি দেয়া হয় তার শিরায়। এতেই ঘটে বিপত্তি। ইনজেকশন দেয়ার পরপরই রোগী গেলাম মরলাম অবস্থা শুরু করে, দেখা দেয় খিচুনি। ডাকা হয় চিকিৎসক। ডা. আওলিয়ার রহমান দ্রুত রোগীর পাশে গিয়ে দেখেন পরিস্থিতি বেশামাল। কর্তব্যরত সেবিকা সুমনাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি শুরু করেন আমতা আমতা। পরে তিনি বলেন, ইনজেকশনটি দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী। কে সেই স্বেচ্ছাসেবী? নতুন একজনকে দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত সেবিকার অনুপস্থিতিতে কি কোনো বহিরাগত বা স্বেচ্ছাসেবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর চিকিৎসা দেয়ার এখতিয়ার রাখে? এ প্রশ্ন তুলে সচেতনদের অনেকেই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেছেন, তা হলে তো অপচিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালে চক্রান্তও হতে পারে। ঘটনা দুঃখজনক।
ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ঘুমের ইনজেকশনটা মাংসে পুশ করলে ধীরে ধীরে রোগীর শরীরে ছড়াতে থাকে। এতে রোগীর ঘুম আসার কথা। অথচ তা রোগীর শিরায় দেয়ার কারণে রোগীর খিচুনি শুরু হয়। রোগীর পাশে থাকা তার আত্মীয় স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।