পুলিশি হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো রাঙ্গিয়ারপোতার স্কুলছাত্রী

বেগমপুর প্রতিনিধি: বাল্যবিয়ে সামাজিক ও আইনি অপরাধ। তারপরও কোথাও না কোথাও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে অতি গোপনে হচ্ছে বাল্যবিয়ে। তবে এবার সফল হতে পারেনি আয়োজকরা। পুলিশি হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী যুথী খাতুন। বিয়ে না করেই ফিরতে হয়েছে ছাবদালপুর গ্রামের বর মামুনকে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গিয়াপোতা গ্রামের বিশারত আলীর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার ছাবদালপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মামুনের সাথে। বাল্যবিয়ে হওয়ায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বর মামুন দু’টি মাইক্রো নিয়ে বিয়ে করতে যুথীদের বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খানের নির্দেশে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই খালিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যুথীদের বাড়িতে হাজির হন। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে ভেস্তে যায় বিয়ের আসর। আর বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় নাবালিকা যুথী। খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয় বর মামুনকে। বাল্যবিয়ে অপরাধ জেনেও যারা বিয়ের আয়োজন করেছিলো তাদের শাস্তির দাবি তুলেছে সচেতন মহল।