কোলকাতা-দর্শনা-ঢাকা কনটেইনারবাহী ট্রেনের যাত্রা শুরু

পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলপথ ব্যবহারে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ

দর্শনা অফিস: ঢাকা-দর্শনা-কোলকাতা পথে যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসের পর এবার চালু হলো কনটেইনার ট্রেন পরিসেবা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কোলকাতার মাঝেরহাট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৬০টি পণ্য ভর্তি কনটেইনার নিয়ে দর্শনার দিকে রওনা দিয়েছে বিশেষ এই ট্রেনটি। সড়ক ও নৌপথে পণ্য চলাচলের সময় এবং খরচ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে এই প্রথম কনটেইনার ট্রেনের সূচনা হলো। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কোলকাতার কাটাপুকুর এলাকার মাঝেরহাটের কাছে ভারতের কনটেইনার করপোরেশনের ডিপো থেকে পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হারিন্দ্রা রাও। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কনটেইনার রেলের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা কনকরের শীর্ষ কর্মকর্তা কল্যাণ লামা, মানসী ব্যানার্জিসহ রেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সবুজ পতাকা নেড়ে এ পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা হয়। এই যাত্রায় রেলের ৬০টি কনটেইনারে রয়েছে চাল, গম, ফল ও পশুখাদ্য। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র বলেছেন, এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে কনটেইনার ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার পণ্য পরিবহনে সম্মত থাকলে নিয়মিত এই কনটেইনার ট্রেন চলাচল করবে দুই দেশের মধ্যে। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন, কনটেইনার ট্রেনে বাংলাদেশে পণ্য পাঠানোর বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আলোচনায় ছিলো। এতোদিনে জাহাজে করে কনটেইনারে পণ্য পরিবহন করা হতো। এবার ট্রেনে করে কনটেইনার পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের গেদে সীমান্তপথে দর্শনা হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে দর্শনা আন্তার্জাতিক স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার সকাল ৭টায় ট্রেনটি ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর লিয়াকত আলী। বঙ্গবন্ধু সেতু স্টেশনে (পশ্চিম) পৌঁছুলে বাংলাদেশের রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রহণ করবেন। গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারতের কনকর ও বাংলাদেশের সিসিবিএল’র মধ্যকার স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় কনটেইনার ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলপথ ব্যবহার করে দ্রুত ও সস্তায় পণ্য পরিবহনে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই লাভবান হবে।
নতুন চালু হওয়া এই ট্রেনের প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রায় ৩০টি রেকে মোট ৬০টি কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ৩০টি জিপ গাড়ি উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।