বিদেশি টুকরো খবর

‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরা সাংবাদিকদেরও ছাড় দেয়নি ইসরাইল

মাথাভাঙ্গা মনিটর: গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো গত শুক্রবারের বিক্ষোভের সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও রেহাই দেয়নি দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রেস লেখা সুরক্ষা জ্যাকেট পরা থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে তারা। ওইদিন ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরার বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন স্থানীয় আইন মিডিয়ার আলোকচিত্র সাংবাদিক ইয়াসের মুরতজা। ফিলিস্তিনি জার্নালিস্ট সিন্ডিকেট জানিয়েছে, মুরতজা ছাড়াও আরও পাঁচ সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। যদিও তাদের গায়ে প্রেস লেখা সুরক্ষা জ্যাকেট ছিলো। প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টাস উইদাউট বার্ডারসের সেক্রেটারি ক্রিস্টোফার ডেলিওর বলেছেন, মুরতজাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।  ইসরাইলের সাংবাদিক ইউনিয়ন মুরতজা হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা দাবি করে বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের সেনাবাহিনী কখনও দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করতে পারে না।

পূর্ব ঘৌটায় সরকারি বাহিনী হামলায় নিহত ৭০

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত দৌমা শহরে বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণের ফলে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকরা। স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট একটি বেসমেন্টে মরদেহের ছবিসহ একটি টুইট করে বলেছে, মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।  তবে এই তথ্য অন্য কোনো উৎস থেকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার এ অভিযোগকে অতিরঞ্জন বলে দাবি করেছে। এর আগে করা এক টুইটে হোয়াইট হেলমেট দাবি করেছিলো যে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৫০। পরে ওই টুইটটি মুছে ফেলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে খুবই পীড়াদায়ক তথ্য পাচ্ছে। তারা আরও বলেছে, রাসায়নিক হামলা হয়ে থাকলে সিরিয়ার মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করা রাশিয়া দায়ী থাকবে।

ইঞ্জিন ছাড়াই ১০ কিমি ছুটলো ট্রেন : অল্পের জন্য রক্ষা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের উড়িষ্যায় ইঞ্জিন ছাড়া একটি ট্রেন প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। তবে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। গত শনিবার রাতে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন আলাদা করা হয়েছিলো। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তকর্মী স্কিড ব্রেক প্রয়োগ না করায় ট্রেনটি চলতে শুরু করে। ট্রেনটি সময় মেনে চলছে না দেখে টনক নড়েন রেলের কর্মীদের। তারা রেললাইনে পাথর রেখে ট্রেনটিকে থামাতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি ১০ কিমি পথ চলেছে। তবে এ ঘটনায় সব যাত্রীই সুরক্ষিত রয়েছেন। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১০টায় টিটলাগড় স্টেশন থেকে আহমেদাবাদ-পুরি এক্সপ্রেস ইঞ্জিন ছাড়াই চলতে শুরু করেছিলো। তবে যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। কারও কোনো আঘাত লাগেনি। ট্রেনটির অন্যপ্রান্তে সংযুক্ত করার জন্য ইঞ্জিন আলাদা করা হয়। এর পরই ট্রেনটি কেসিঙ্গার দিকে চলতে শুরু করে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিটলাগড় থেকে কেসিঙ্গার দিক ঢালু। শান্টিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রেলের দুই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মালিককে কামড়ে মারার দায়ে কুকুরের মৃত্যুদণ্ড!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মালিককে কামড়ে মেরে ফেলায় একটি স্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার কুকুরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। জার্মানির হ্যানোভার শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা যায়, কুকুর ‘চিকো’ হুইলচেয়ারে বসা এক ভদ্রমহিলা ও তার অসুস্থ ছেলেকে কামড়িয়ে খুন করে। গত মঙ্গলবার রাতে ভদ্রমহিলার মেয়ে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাদের ফ্ল্যাটে আসেন। জানালা দিয়ে ভেতরে ভাইয়ের নিষ্প্রাণ দেহ দেখতে পান তিনি। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে কুকুরটিকে ধরে ফেলেন। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে কুকুরের আঁচড় ও কামড়েই মারা গিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী মালকিন ও তার ২৭ বছরের চিররুগ্ন ছেলে। আপাতত কুকুরটিকে স্থানীয় একটি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তবে কেন সে এমন কাজ করলো তা জানা যায়নি।