বিদেশি টুকরো খবর

ভারতেও চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শুধু বাংলাদেশের নয় ভারতেও চলছে কোটা সংস্কার আন্দোলন। গতকাল মঙ্গলবার গোটা ভারতে কোটা বিরোধীরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছিলো যা দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ বনধকে সমর্থন করলেও কিছু জায়গায় বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশকেও কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়। সরকার দেশজুরে নিরাপত্তা জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। শিক্ষা ও চাকরিতে জাতি এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কোটার বিরোধিতায় ভারত বনধকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্নস্থানে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিহারসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের জেলায় সহিংসতায় এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। রাজ্যের ছয়টি জেলায় বনধ সমর্থকরা রেল ও রাজপথ বন্ধ করা হয়, বাজারের দোকান বন্ধ করে দেয়। ভারত বনধ সমর্থকরা মূলত উচ্চশ্রেণির। গত সপ্তাহেও ভারতের উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে দলিত গ্রুপের একটি অবরোধকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিলো।

বিমানে মশার উৎপাতের অভিযোগ করায় যাত্রীকে নামিয়ে দিল ক্রুরা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: লক্ষ্নৌ থেকে বেঙ্গালুরু ফেরার জন্য গত সোমবার সকালে ইন্ডিগোর বিমানে উঠেছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সৌরভ রাই। বিমানে উঠে তিনি ক্রুদের অভিযোগ করেন, ভেতরে মশা রয়েছে। অথচ সমস্যা তো মেটানো হয়নি, উল্টে বিমানের কর্মীরা তাকে জোর করে বিমান থেকে নামিয়ে দেন।

জানা যায়, ভোর ছয়টার বিমানে উঠেছিলেন ওই চিকিৎসক। বিমানে উঠে তিনি ক্রুদের বলেন, ভেতরে মশা রয়েছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কিন্তু ইন্ডিগো কর্মীরা সমস্যা মেটানোর বদলে তাকে চুপচাপ বসে থাকতে বলেন। এরপর দু’তরফের ঝামেলা শুরু হয়। তখনই বিমানকর্মীরা তাকে নেমে যেতে নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ, বলেন, রানওয়ে থেকে টার্মিনালে হেঁটে যেতে হবে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন অভিযোগকারী। তার দাবি, ইন্ডিগো কর্মীরা তাকে ‘জঙ্গি’ বলেছেন, বলেছেন, তিনি নাকি অন্য যাত্রীদের পক্ষে বিপদ। এছাড়া বিমানের কর্মীরা নাকি আরও বলেছেন, মশার সঙ্গে থাকতে না পারলে ইন্ডিয়া ছেড়ে দেয়া উচিত তার।

ইন্দোনেশিয়ায় চোলাই মদ পানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইন্দোনেশিয়ায় ঘরে তৈরি চোলাই মদ পান করে ৫০ জনেরও বেশি লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় আরো বহুল লোক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই মদ তৈরিতে মশার ওষুধসহ দূষিত বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিলো। এসব মদ তৈরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ রাজধানী জাকার্তা ও পার্শ্ববর্তী একটি প্রদেশ থেকে অন্তত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই পানীয়তে প্রাণঘাতী মেথানল উৎপন্ন হয়ে না এর উপাদানগুলোর (যেগুলোর মধ্যে পোকা তাড়ানোর জন্য পরিচিত একটি ওষুধও ছিলো) বিষক্রিয়ায় ওই ব্যক্তিরা মারা গেছেন তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের মুখপাত্র ত্রুনোইউদো উইসনু আন্দিকো বলেছেন, ‘এটি বিভিন্ন উপদানের মিশ্রণ ছিলো যা খাওয়ার উপযুক্ত ছিলো না। এর উপাদানগুলো নির্দিষ্ট করার জন্য আমরা এখনও পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার বোতল চোলাই মদ ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গণমাধ্যমে সম্প্রাচারিত ছবিতে বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালমর্গের সামনে প্রিয়জনের লাশের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ায় মদের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা হয়েছে। এরফলে স্বল্প আয়ের মানুষেরা প্রায়ই সস্তা দরের চোলাই মদ কিনে পান করেন থাকেন। দেশটিতে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই খবরের কাগজের শিরোনাম হয়। কিন্তু এবারের ঘটনায় গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ পান করে দেশটিতে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।

মাত্র ১ মাস বাঁচবেন ইরফান: ভারতীয় সাংবাদিক উমায়ের সান্ধুর টুইট

মাথাভাঙ্গা মনিটর: খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কি আমরা শক্তিমান ও মেধাবী অভিনেতা ইরফান খানকে হারাতে যাচ্ছি! গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রাঙ্গনের সঙ্গে জড়িত মানুষেরা এমনই আচ্ছন্নে রয়েছেন। এর মধ্যে, ইরফানের শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে টুইট করে ব্যাপারটিকে আরও ঘোলাটে করে দিয়েছেন দেশটির এক বিনোদন সাংবাদিক উমায়ের সান্ধু। তাছাড়া ইরফান খানের শারীরিক অবস্থার অবনতি ফলাও করে জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন ইরফান। সেখানে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লম্বা পোস্ট দেন তিনি। তবে তারপর থেকে তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত রোববার ইরফানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে একটি টুইট করেন উমায়ের সান্ধু নামের এক সাংবাদিক। তার সেই টুইট থেকে জানা যায় যে, ইরফানের শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হয়েছে। এমনকি ইরফান ক্যান্সারের শেষ পর্যায় রয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। টুইটে সান্ধু লিখেছেন, ‘আর মাত্র একমাস আয়ু আছে ইরফানের!’ যদিও পরে এই টুইট মুছে দেন উমায়ের সান্ধু। আর তখন থেকেই ইরফানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে ইরফানের পরিবার।