চাচাকে চা-সিগারেট খাইয়ে ও মাছ ধরতে পাঠিয়ে চাচির সাথে গোপন অভিসার চাচি-ভাতিজা আটক ॥ থানা পুলিশে সোপর্দ

মেহেরপুর অফিস: কৌশলে চাচাকে চা-পান-সিগারেট খাইয়ে ও মাছ ধরতে পাঠিয়ে চাচির সেবা নিতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছে ভাতিজা। গতরাত সোয়া নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর শেখপাড়া গ্রামে। ওই রাতেই চাচি ও তার প্রিয় পুরুষ ভাতিজাকে মেহেরপুর সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাজনগর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে চাচা মামুনকে চা-পান ও সিগারেট খাওয়ায় ভাতিজা রাজমিস্ত্রির যোগালে ফিরোজ হোসেন। পরে ফিরোজ হোসেন চাচা মামুনকে মাছ ধরতে পাঠায়। রাত সোয়া ৯ টার দিকে প্রতিবেশিরা লম্পট ফিরোজ হোসেন (৩০) ও তার চাচি পারুলা খাতুন ওরফে পারুকে (২৫) মামুনের বাড়ির পাশের একটি ছাপড়ার নিচে থেকে বিবস্ত্র ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আটক করে। এসময় উৎসুক জনতা ছুটে এসে তাদের হালকা মারপিঠ করে স্থানীয় বারাদী ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বারাদী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই বাবলু ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে জানান, আসামি চাচি-ভাতিজাকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীরা আরও জানান, এক কন্যা সন্তানের জননী পারুলা ওরফে পারু আমঝুপি গ্রামের নীল কুঠিপাড়ার মেয়ে। তার আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী পাড়ায়। কিন্তু ভ্যানচালক মামুনকে দেখে সে তার প্রেমে মজে যায়। পরে প্রথম স্বামী ত্যাগ করে দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে রাজনগর গ্রামের শেখপাড়ার ভ্যানচালক মামুনকে বেঁছে নেয় সে। তাদের এ ঘরে আসে একটি কন্যা সন্তান। এদিকে স্বামী বদল হলেও স্বভাব বদল হয়নি পারুলা ওরফে পারুর। তাইতো মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে পারুলার শ্বশুর বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসা একই গ্রামের বিশা আলীর বিবাহিত ছেলে ফিরোজ হোসেনের সাথে দহরম মহরম গড়ে তোলে। আর এভাবে সুযোগ নিতে গিয়ে এদিন রাতে তারা হাতেনাতে ধরা পড়ে।