গাংনীর হেমায়েতপুরে পুলিশের সাথে গুলির লড়াইয়ে সন্দেহভাজন অজ্ঞাত ডাকাত নিহত

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর-আমতৈল সড়কের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে অজ্ঞাত সন্দেহভাজন এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বোমা, দুটি ধারালো অস্ত্র ও একটি এলজি শার্টারগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতরাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ডাকাতদলের হামলায় পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হেমায়েতপুর গ্রাম থেকে আমতৈল-মানিকদিয়া গ্রামের যাওয়ার সড়কের পাশে জনৈক আমান উল্লাহর কলাবাগানে একদল ডাকাত পাশর্^বর্তী কোথাও ডাকাতি প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। এ সময় গাংনী থানা পুলিশের দুটি টহলদল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। কলাবাগানটি চারিদিক থেকে ঘেরাও করার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে যায়। গুলাগুলি থেমে গেলে কলাবাগানে অজ্ঞাত সন্দেহভাজন একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে ৪টি বোমা, দুটি ধারালো অস্ত্র ও একটি এলজি শার্টারগান উদ্ধার করা হয়।

এদিকে আহত ব্যক্তিকে পুলিশ পিকআপভ্যানে চিকিৎসার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এমকে রেজা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডা. এমকে রেজা বলেন, নিহতের শরীরে বিভিন্নস্থানে গুলিবিদ্ধ রয়েছে। গুলিবিদ্ধের ক্ষত থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডা. এমকে রেজা আরও বলেন, আহত দু’কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের শরীরে গুলি (ছররা) বিদ্ধ হয়েছে। তবে তারা দু’জনই আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে রাত চারটা পর্যন্ত এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে বন্দুকযুদ্ধের পর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়েছিলো। তারাও পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, বন্দকযুদ্ধের ঘটনায় দু’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। চরম পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই পুলিশ সদস্যরা প্রাণেরক্ষা পেয়েছেন। ডাকাতি প্রস্তুতি ও পুলিশের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত ব্যক্তির সাথে যারা বন্দুকযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে। অপরদিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হবে। বিকেল পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত না হলে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হবে।