প্রাথমিক শিক্ষার নতুন প্রশ্নকাঠামো চূড়ান্ত : এমসিকিউ বাদ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮’র নতুন প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন চূড়ান্ত করে তা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, এনসিটিবির প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের মতামতের আলোকে প্রশ্নকাঠামো চূড়ান্ত করা হয়। এবারের প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বিভাজনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন কাঠামো অনুযায়ী শিশুদের এই পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের বদলে ছোট-বড় প্রশ্ন করা হবে। ফলে শতভাগ লিখিত প্রশ্নের আলোকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যা প্রথম সাময়িক থেকেই কার্যকর হবে। নেপ’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতেই যুগপোযোগী একটি নতুন প্রশ্ন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতেই প্রাথমিক স্তরের এমসিকিউ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়ার নেপ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারিও করেছে। প্রশ্ন কাঠামে এখন নেপের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকার সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির পক্ষ থেকে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্রের কাঠামো জারি করা  হয়েছিলো। এতে প্রাথমিকের ৬টি বিষয়ের মধ্যে বাংলায় ১০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০ নম্বর, গণিতে ২৪ নম্বর, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৫০ ও ধর্ম বিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র রাখা হয়েছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনার আলোকে এমসিকিউ বাদ দিয়ে ওইসব জায়গায় রচনামূলক প্রশ্ন সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলায় আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষায় শব্দ অর্থ লিখন, শূন্য স্থান পূরণ, অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্ন তৈরিকরণ, যুক্তবর্ণ বিভাজন, বাক্য গঠন, এক কথায় প্রকাশ, বিরাম চিহ্ন, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, ক্রিয়াপদের চলতি রূপ, ফরম পূরণ, দরখাস্ত/চিঠি লিখন, রচনা লিখন রাখা হয়েছে। ইংরেজিতে সত্য-মিথ্যা নিরুপণ, শূন্যস্থান পূরণ, শব্দ মিলানো, ছোট প্রশ্নের উত্তরসহ নানা বিষয় রাখা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি বিষয়ে এমসিকিউ বাদ দিয়ে প্রশ্ন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসএসসি, এইচএসসি, জেএসসি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই প্রাথমিক স্তরে এমসিকিউ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।