ঝিনাইদহ ডাকবাংলার বাদপুকুরিয়ায় দু’বোনকে ৫দিন আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়ে দু’হাত ভেঙে দিলো ৪ ভাই!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলার বাদপুকুরিয়া গ্রামে আপন দু’বোনকে ৫দিন ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়ে দু’হাত ভেঙে দিয়ে গুরুতর জখম করেছে ৪ভাই, মর্মে অভিযোগ উঠেছে। নিজেদের ফারায়জের জমি বুঝে নিতে গিয়ে দু’বোনকে ৫দিন আটকে রেখে বেধড়ক পেটানো হয়।
জানা গেছে, ডাকবাংলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের মৃত. মোবারক ম-লের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে, মেয়ে হালিমার স্বামীর বাড়ি ঝিনাইদহ সদরের গান্না ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামে আর লতার স্বামীর বাড়ি পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ফরিদপুর গ্রামে। হালিমা ও লতা দু’বোন গত ৫দিন পূর্বে ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে বাদপুকুরিয়া গ্রামে নিজেদের পিতা মৃত. মোবারক ম-লের পৈত্রিক বাড়িতে এসে তাদের ফারায়জের জমির হিসেব বুঝে নিতে আসে। সে সময় রাত ১১টার দিকে আপন ৪ ভাই জাহাঙ্গির, আলমগীর, রবিউল ও শামিম, দু’চাচা আতর আলী ও আলী হোসেনের হুকুমে দু’বোনের সাথে জমি দিবে না মর্মে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে হালিমা বেগম ও তার বোন লতা বেগমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি, রড ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে দু’বোনের দু’হাত ভেঙে ৫দিন ঘরে আটকে রাখে।
গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, জমাজমির অংশীদারীত্বকে কেন্দ্র করে চাচা আতর আলী ও আলী হোসেনের হুকুমে ৪ ভাই মিলে হত্যার উদ্দেশে দু’বোনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এসেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। গুরুতর অসুস্থ্য ও অসহায় দু’বোনকে ৫দিনের ভেতরে বাড়ির কেউ চিকিৎসাও নিতে দেয়নি। খবর পেয়ে হালিমা বেগমের স্বামী সোনা খন্দকার ছুটে এসে একই গ্রামের ফুপাতো কুটুম হেলাল ও ফারুকে সাথে নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দু’বোনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন, হালিমা বেগম ও তার বোন লতা বেগমের চিকিৎসা চলমান আছে। তাদের দুজনের দু’হাত ভেঙে গেছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় হালিমা বেগমের স্বামী সোনা খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেছি এবং আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদ শেখ জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।