আলমডাঙ্গীর শ্রীরামপুরে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি : টিনের চালও ক্ষতবিক্ষত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ ভাঙা শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শ্রীরামপুরে শিলাবৃষ্টিতে ভূপরিম-লে বরফের আস্তারণ জমে যাওয়ার অবস্থা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে সাইদুলসহ অনেকে। গতরাত পৌনে ১১টার দিকে ১৫-১৬ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে অনেক ঘর-বাড়ির টিনের চালা পর্যন্ত ফুটো হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে আলমডাঙ্গার খাসকররা, মেহেরপুরের গাংনী ও মেহেরপুর সদর উপজেলাতেও ঝড়-বৃষ্টিসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো বাতাসসহ হালকা বৃষ্টি হয়েছে রাত সাড়ে ১২টার দিকে।
আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল সকাল থেকেই পূর্বাভাসে জানায়, ঢাকা ময়মানসিংহের কয়েক জায়গায়, খুলনা রাজশাহী, চট্টগ্রাম বরিশালের দু এক স্থানে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে সকাল থেকে বৃষ্টির তেমন আলামতের বদলে তীব্র খরায় অসহনীয় পরিবেশ গড়ে ওঠে। সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরের আকাশে মেঘ জমতে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই যেনো আকাশ ভেঙে ঝরতে থাকে বরফের টুকুরো। ছোট বড় বরফ তথা শিলা টুকরো মাঠের পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতিই শুধু করেনি ঘর-বাড়ির টিনের চালাও ফুটো করে দিয়েছে। কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের সাইদুলসহ অনেকেই মাথাভাঙ্গাকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, কি পাপ করেছি যে আমাদের শিলাবৃষ্টিতে এতোবড় ক্ষতি করে দিলো? স্মরণকালে এতোবেশি শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলেও মন্তব্য করে এরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রাতে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আমাদের খাসরকররা, মেহেরপুরের গাংনী, মিরপুরের আমলা ও মেহেরপুর সদর উপজেলা ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা এলাকায় ঝড়ো বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টির খবর জানিয়ে বলেছেন, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হয়েছে। যেখানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে সেখানেই বেশি ক্ষতি হয়েছে। ঝড়োর গতি তেমন একটা জোরালো ছিলো না।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৬ ও সর্বোনি¤œ ছিলো ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের প্রখরতা থাকলেও তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি। কারণ হিসেবে আবহাওয়া অভিজ্ঞরা বলেছেন, ভূপরিম-লে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তাপমাত্রা বেশি না হলেও সকাল থেকেই অসহনীয় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়েছে। যার ফলে ঘামতে হয়েছে দেদারছে। রাতে চুয়াডাঙ্গায় হালকা ঝড়ো বাতাসের সাথে ছিটেফোটা বৃষ্টিতেই শীতল বাতাস টেনে আনে।