দামুড়হুদার নাস্তিপুরে ভারতে পাচারেরকালে ৩৭ কেজি সোনা উদ্ধার

দর্শনা অফিস: ভারতে পাচারকালে সীমান্ত থেকে ৩২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। যার ওজন ৩৭ কেজি। বুধবার দুপুরে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে স্বর্ণের চালানটি জব্দ করা হয়। তবে কোনো পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার সুলতানপুর সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে সোনার বড় একটি চালান ভারতে যাবে বিশ্বস্ত সূত্রে এমন খবর পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী সুলতানপুর ক্যাম্পের হাবিদাল বীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও নায়েক রাসেল সিকদার সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে সকাল থেকেই সীমান্তের শূণ্যরেখার কাছাকাছি মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ওত পেতে থাকে। দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিজিবি সদস্যরা ৩ জনকে নদী সাঁতরে বাংলাদেশ থেকে ভারত অভিমুখে যেতে দেখেন। ওই সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের থামতে বললে তারা ৩ জনই নদীতে ঝাঁপ দেয়। তাদের মধ্যে একজন সোনারবার বহনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি বেল্ট ফেলে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা মাথাভাঙ্গা নদীতে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়ে চোরাচালানীদের ফেলে যাওয়া তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করে।
বিজিবি সদস্যরা বেল্টের ভেতরে সোনার বার দেখতে পেয়ে ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে খবর দেন। এরপর বাড়তি লোক নদীতে নামিয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া আরও দুটি বেল্ট উদ্ধার করা হয়। ৩টি বেল্ট থেকে মোট ৩২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে বিকেলে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আরশাদ হোসেনসহ বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে বিজিবি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ওজন করা হয়। সেগুলোর ওজন দাড়ায় ৩৭ কেজি ৩২৪ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ কোটি টাকা।’
কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আরশাদ হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তবে চোরাচালানীরা ভারতের অংশে ঢুকে পড়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমাম হাসান বলেন,‘আটক সোনার বারগুলো জেলা ট্রেজারিতে জমা রাখা হবে।