আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়িতে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে ধস হুমকির মুখে চার ইউনিয়ন : লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি দোয়া মোড়ে নদীর পাড় ধসে হুমকীর মুখে পড়েছে পাকা রাস্তাটি। ৩০ ফুট চওড়া এবং ৩০০ ফুট লম্বা পাড়টি মেরামত করা না হলে চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাড়টি মেরামত করে জনগণকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সরেজমিন জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ গ্রোথ সেন্টার থেকে নতিডাঙ্গা হাট সড়কের গোয়ালবাড়ি সড়কটি দীর্ঘ ছয় বছর আগে পিস করা  হয়। এ সড়ক দিয়ে বাড়াদী, গাংনী, খাদিমপুর ও জেহালা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। এ সড়ক দিয়ে মুন্সিগঞ্জ পশু ও পান হাট, সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, সৃজনী মডেল হাই স্কুল, মুন্সিগঞ্জ নীগার সিদ্দিক কলেজ, মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশন, মুন্সিগঞ্জ বাজার, মুন্সিগঞ্জ একাডেমি, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং গাংনী তদন্ত কেন্দ্রসহ মাঠে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

গোয়ালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুল হক, আনোয়ার হোসেন ও সাঈদ মণ্ডলসহ এলাকাবাসীরা জানান, মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটিতে গত বর্ষা মরসুমে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়টি ভেঙে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি কোনো নজর দেয়নি। মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় ভেঙে পাকা রাস্তার বক্স কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এপথে চলাচলকারীরা । পাড়টি এখনই মেরামত করা না হলে রাস্তাটি সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।

এ বিষয়ে বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তবারক হোসেন হোসেন জানান, সড়কের পাড় ধসে যাওয়ার বিষয়টি ৫ মাস আগে এলজিইডি বিভাগকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে, আবারো এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাবো।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান জানান,  ওই সড়কটি এলজিইডির আওতায়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো দ্বায় দায়িত্ব নেই। তারপরও জনপ্রতিনিধিরা লিখিতভাবে বিষয়টি জানালে স্কিম নেয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, পাড় ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি কেউই তাকে জানায়নি। তবে, এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।