চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের সন্তোষপুরে রাস্তার গাছ ফেলে বেরিকেড দিয়ে পথচারী ও নৈশকোচে গণডাকাতি

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: দর্শনা-জীবননগর সড়কের সন্তোষপুর ও মনোহরপুরের মাঝামাঝি বুয়ারগাড়ি নামক স্থানে গণডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে পরিবহণ, ট্রাক, পিকআপ ও মিশুক যাত্রীদের নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। এবার ডাকাতির কবল থেকে প্রসূতি এক মা ও তারসহ যাত্রীরা রক্ষা পায়নি। দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়কে যানবাহন আটকে ডাকাতি সংঘটিত করলেও হাইওয়ে টহল পুলিশের দেখা মেলেনি বলে ডাকাতির শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ।

আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মিশুকচালক কাজী জাকির হোসেনের ছেলে কাজী রাসেল হোসেনের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মটুক ভৌমিকের স্ত্রী মেঘলা রাণী ভৌমিকের প্রসব বেদনা ওঠে। মিশুক যোগে বিন্দা ভৌমিক তার স্ত্রী মায়া রাণী ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী মায়া রাণী ভৌমিক ওই প্রসূতিকে সাথে নিয়ে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে সন্তোষপুর-মনোহরপুরের মাছামাঝি বুয়ারগাড়ি নামক স্থানে পৌঁছুলে ডাকাতদল সড়কে দুটিগাছ ফেলে গতিরোধ করে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ৮/১০ জনের ডাকাতদল দেশিয় ধারালো অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে বিন্দা ভৌমিকের স্ত্রীর গলার সোনার চেন, কানের দুল ও হাতের চুরি ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও আগে সন্তোষপুর মোড়ের ভাংড়ী ব্যবসায়ী সুমার পিকআপ ও একটি ট্রাক আটকিয়ে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে ডাইভার ও হেলপারকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে।

পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ পরিবহন সোনারতরী, দর্শনা ডিলাক্স ও এআর পরিবহনের যাত্রীদের নিকট থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়না, মোবাইলফোনসহ দু লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে ডাকাতদল। সশস্ত্র ডাকাতদল সন্তোষপুরে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের গাছ কেটে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। ডাকাতদল যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা, মোবাইলফোন, ঘড়ি ও সোনার গয়না লুটে নেয়। পরে টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়।

ডাকাতির কবলে পড়া দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের চালক কালু জানান, ঢাকা থেকে রাত ৮টার দিকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী নৈশকোচ দর্শনা ডিলাক্স, সোনারতরী ও এআর ডিলাক্স রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডাকাতদলের ব্যারিকেডের মধ্যে এসে পড়ে। সশস্ত্র ডাকাদতল এ সময় তিনটি নৈশকোচের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক টাকা, মোবাইলফোন, হাতঘড়ি ও সোনার গয়না লুট করে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ রাতে এ সড়কে পুলিশের টহল ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও ডাকাতিকালে তা ছিলো না। তবে ডাকাতির শেষ পর্যায়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করে।