ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কিসমত ঘোড়াগাছার আনু হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামে ভাই হত্যা মামলার বাদি হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষরা আনুকে খুন করেছে বলে পরিবারের দাবি। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে ২২ বছর আগে খুন হওয়ায় ভাই রবিউল ইসলাম হাকির হত্যারকারীদের হাত থাকতে পারে বলে পরিবারটির সন্দেহ। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামের জাবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আনুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গত বুধবার রাতে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায় কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের উড়ির বিলে। নিহতর স্ত্রী বিউটি খাতুন গতকাল শনিবার অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাতে তার স্বামী আনোয়ার হোসেন আনুর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। রাতে অনেক খুজেও তার স্বামীকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার তার স্বামীর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। কদিন আগে তার স্বামীকে পথের মধ্যে মরধর করা হয়েছেল বলেও বিউটি খাতুন যোগ করেন। মোবাইলের কললিষ্ট যাচাই করলেই এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে বলে নিহত আনুর স্ত্রীর দাবি। দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া আনুর নিকটাত্মীয় কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আনু ভালকী গ্রামের একজন বড় কৃষক ছিলেন। কোনো চরমপন্থি দলের সাথে তার সম্পৃক্ত ছিলেন না। ১৯৯৪ সালে খুন হওয়া রবিউল ইসলাম হাকি পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ঘরের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করে। ঘটনার দিন কিলিং মিশনে কারা অংশ নিয়েছিল তা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট।
ভাই হত্যা মামলার বাদী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষরা আনুকে হত্যা করেছে বলে তাদের সন্দেহ। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এ মামলার আসামিরাই ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন সময় আনুকে সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মামলার আসামি বানিয়ে পুলিশের কাছে দাগী করে তুলেছিলো।
ঘোড়াগাছার পাল সম্প্রদায়ের লোকজন আনুর অত্যাচারে অতিষ্ঠি ছিলো বলে আনুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ওই ষড়যন্ত্রকারীদেরই অপপ্রচার বলে আনুর স্বজনরা জানান। হরিণাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দীন জানান, শনিবার আনুর স্ত্রী বিউটি খাতুন ৬/৭ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে নিহত আনুকে হরিণাকুণ্ড উপজেলার ভালকী গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।