আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পয়েন্টে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর সেতু ডিসেম্বরেই যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নবম সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ৯০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পশুহাট-পারকৃষ্ণপুর পয়েন্টে তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ডিসেম্বর থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সহযোগিতায় সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্টাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের নিকট মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু হয়। নদীর ওপারে খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রাম এপারে জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ পশুহাট। এডিবি ও জার্মানির দাতা সংস্থা কেইডাবল্লুর অর্থায়নে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং প্রস্থ ২৪ ফুট। নদীর ওপারে সেতুটিতে চলাচলের জন্য মাজহাদ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পাকাসড়ক নির্মাণ করা হবে। এজন্য আলাদা প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সেতুটির নির্মাণ কাজ করছে চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার মেসার্স এমএম অ্যান্ড এসডি (জেভি) নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে একটি সাইট অফিস নির্মাণ এবং এলজিইডি ও কেইডাবল্লুর পক্ষ থেকে দুজন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সেতু তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে পারকৃষ্ণপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পারকৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষের কষ্টের অবসান হতে চলেছে। সেতুটির নির্মাণকাজও ভালোভাবে হচ্ছে। আশা করি সেতুটির নির্মাণ কাজ শিগগিরই শেষ হবে। খাদিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজালাল ব্যানা জানান, সেতুটি নির্মিত হলে তার ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামবাসী উপকৃত হবে। পাশাপাশি চিৎলা ও গাংনী ইউনিয়নবাসী এ সেতুটি দিয়ে মালামাল পারাপার করতে পারবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী ও সেতু নির্মাণ কাজের সুপারভাইজার আকমল হক ফারুক জানান, শুরু থেকেই উন্নত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। নির্ধারিত সময়েই সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। দাতা সংস্থা জার্মানির কেইডাবল্লুর কনসালটেন্ট সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, সেতুতে চলাচলের জন্য পারকৃষ্ণপুর অংশে ২ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।