মাসুম ও মিনারুল বাহিনীর মধ্যে ফের হামলা : মাসুমসহ আহত ৪

দর্শনা হল্টস্টেশনে চোরাকারবারী ও মাদকচক্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু পক্ষের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

দর্শনা অফিস: মাদক ও চোরাচাকারবারীচক্রের নিরাপদ স্থান দর্শনা হল্টস্টেশন। দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা হল্টস্টেশনের রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনযোগে মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পকেট গরম করছে কেউ কেউ। প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে আদায় করে হয়ে থাকে টাকা। সম্প্রতি এ রুটে লাগেজ কারবার বেশ জোরদার হয়েছে। দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় মাদক ও চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে আরো একটি চক্র। যে কারণে প্রায়ই হচ্ছে দ্বন্দ্ব। দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় মাসুম ও মিনারুল বাহিনীর দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। হল্টস্টেশন এলাকা আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিনারুল বাহিনী। এরই মধ্যে মিনারুল ও মাসুম বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মাসুম ও মিনারুলকে গ্রেফতার করলেও পরের দিন জামিনে মুক্ত হয়েছে মিনারুল। ৮/১০ দিন হাজতবাসের পর গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে মাসুম। সেই থেকে দর্শনা হল্টস্টেশনে প্রশাসনের কোনো বিভাগের নামে অর্থ আদায় বারণ রয়েছে। রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী সাগরদাড়ি ট্রেনে লাগেজ মালামাল তোলা হচ্ছিলো। এ মালামাল ট্রেনে তুলতে বাধা দেয়া ঘটেছে মারামারির ঘটনা। ফের শুরু হয় দু গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব। আবারো ঘটলো হামলার ঘটনা। মিনারুল বাহিনীর হামলায় মাসুম ও সাফায়েতসহ আহত হন ৪ জন। চলছে মামলার প্রস্তুতি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দর্শনা হল্টস্টেশন গেটের সামনে মাসুম ও মিনারুল বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শুরু হয় হামলা-পাল্টা হামলা। এ হামলায় বাহিনী প্রধান হল্টস্টেশনপাড়ার মাসুম, সাফায়েত, শরিফসহ ৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাফায়েতকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনায় সাফায়েতের মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে অপর বাহিনী প্রধান মিনারুল, জাহাঙ্গীর, ছমির, রানা, রাজু, মামুনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাসুম। মাসুম অভিযোগ করে বলেছে, মিনারুলসহ তার বাহিনীর ৮-১০ হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। এ সময় স্থানীয়দের বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি। এদিকে মিনারুল জানিয়েছে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। মাসুম ও মিনারুল বাহিনী কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে ঘটাচ্ছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড। তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে অনেকে। দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকা মাদক ও চোরাচালান মুক্তকরণের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী। তবে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আদায় বন্ধ না হলে কখনো সুফল হবে না। বিষয়টির প্রতি নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সচেতন মহল।