পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় গাংনীতে বাবাকে পেটালো এক কুলাঙ্গার ছেলে

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার এলাঙ্গি গ্রামে বয়োবৃদ্ধ তোয়াজ মণ্ডলকে (৬০) পিটিয়েছে তার বড় ছেলে। ছেলেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট না করায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতেই তাকে লাঠিপেটা করা হয়। আহত তোয়াজ মণ্ডলকে গাংনী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।

আহত সূত্রে জানা গেছে, বয়োবৃদ্ধ তোয়াজ মণ্ডল আসন্ন রাইপুর ইউপি নির্বাচনে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী আব্দুর জব্বারের সমর্থক। তার তিন ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম একই গ্রামের সদস্য প্রার্থী শামীম রেজার সমর্থক। একই পরিবারে দুই প্রার্থীর সমর্থক তাই প্রায়ই বাপ-ছেলেদের মধ্যে কলহ চলছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় তিন ছেলে মিলে পিতাকে শামীম রেজার পক্ষে কাজ করতে বলেন। কিন্তু জীবন চলে গেলেও তিন নিজ পছন্দের বাইরে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পিতা। এ নিয়ে পিতা ও পুত্রদের মধ্যে তুমুল বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। অবাধ্য পিতার সাজা হিসেবে পিতার একটি এঁড়ে গরু ছেলেরা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। গরু বিক্রির টাকা তাদের পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে খরচ করা হবে বলে পিতাকে হুমিক দেয়। গোয়াল থেকে গরু বের করার সময় পিতার সাথে বড় ছেলে সিরাজুলের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সিরাজুল লাঠি দিয়ে পিতাকে বেধড়ক মারপিট করে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায় সিরাজুল ও তার অপর দুই ভাই। এ ঘটনায় তিন ছেলেকে কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে তাদেরকে ধিক্কার দিয়েছে এলাকাবাসী। হতভাগা পিতার এই অপমানে ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক সাজাও দাবি করেছেন তারা।

এদিকে প্রতিবেশীরা বয়োবৃদ্ধ পিতাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। শরীরের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এমকে রেজা। তবে ছেলেদের হাত থেকে বয়োবৃদ্ধ তোয়াজ মণ্ডলকে রক্ষায় সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর জব্বার।