আন্দোলনের মাঠ থেকে শ্রমিক স্বার্থ আদায় করেই ঘরে ফিরবো

শ্রমিক-কর্মচারদের দাবি আদায়ে কেরুজ চিনিকলে ফটক সভায় বক্তারা

 

দর্শনা অফিস: শ্রমিক-কর্মচারীদের ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আবারো আন্দোলন কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছে সেক্টর করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদ। সারাদেশে এ আন্দোলনে মাঠে রয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ও নেতৃবৃন্দ। কেরুজ চিনিকলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফটক সভা। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কেরুজ রেসন চত্বরে অনুষ্ঠিত ফটকসভার সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী। সভায় আলোচনা করেন- সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি রেজাউল ইসলাম, ফারুক আহম্মেদ, সহসম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিক নেতা ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীরা মিলের চালিকা শক্তি। তাদের অবজ্ঞা করে কোনো প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন করতে পারে না। আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যতোক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততোক্ষণ আন্দোলন মাঠ ছেড়ে আমরা ঘরে ফিরছি না। শ্রমিক-কর্মচারীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশকৃত প্রস্তাবিত জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্থার সদর দপ্তরের কর্মচারীদের সাথে সংস্থাধীন কারখানাসমূহে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান আর্থিক এবং অন্য বৈষম্য নিরসনকল্পে বাস্তবায়ন করতে হবে। সংস্থাধীন কারখানাসমূহে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও পেনশন বা মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুযায়ী গ্রাইচ্যুটি নির্ধারণ করতে হবে। কর্মরত নারীশ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রসূতি ছুটি ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়াতে হবে। কারখানা শ্রমিক-কর্মচারীদের সমন্বয়সহ ল্যাম্প গ্রান্ট সুবিধা দিতে হবে। পরিপত্র প্রজ্ঞাপনজারীর মাধ্যমে কর্মচারীদের ন্যায় কারখানা শ্রমিকদের চলতি বছর থেকে নববর্ষের ভাতা দেয়াসহ সমন্বয় সাপেক্ষে বর্তমান আহরিত মজরির ৫০ ভাগ মজুরি স্কেলের বিপরীতে অগ্রিম প্রদান করতে হবে। এ দাবিতে ইতোমধ্যে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে।