আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকের অজান্তে সিম নিবন্ধন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে বারবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকের অজান্তে একাধিক সিম নিবন্ধনের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এজন্য গ্রাহকদের সচেতন হতে বলেছে সংস্থাটি। বুধবার বিটিআরসি কার্যলয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সাম্প্রতিক অবস্থা ও অভিযোগ জানাতে একটি শর্ট কোড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বিটিআরসি মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, সিম নিবন্ধনে রিটেইলাররা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার চেষ্টা করছে। গতমাসে আশুলিয়ার একটি ঘটনা ছিলো- একজন রিটেইলার গ্রাহকের অসাবধানতার সুযোগে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে একাধিক সিম নিবন্ধন করে। ছাপ মিলেনি বলে বারবার ওই গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়েছে বলে সে জানিয়েছে। এ রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে আগে ধরা যেত না, এবার বায়োমেট্রিক হওয়াতে সহজেই তা ধরা যাচ্ছে। বারী বলেন একজন গ্রাহককে সচেতন হতে হবে। তিনি যতোবার আঙ্গুলের ছাপ দিচ্ছেন ততোবার যে নম্বরগুলোকে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে তা যাচাই করে নিতে হবে। গতকাল বুধবার সকাল নাগাদ সব অপারেটর মিলিয়ে ৯ কোটি ৭০ লাখের বেশি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে একজন গ্রাহক কতোটি মোবাইলফোন সিমের মালিক তা এসএমএসে জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করছে বিটিআরসি। এমদাদ উল বারী বলেন, “আগামী জুনে এ প্রক্রিয়া শুরু হলে গ্রাহক তার সিমের মালিকানার তথ্য যাচাই করে নিতে পারেবন, তার নামে কয়টি সিম আছে তা সহজেই বের করে নিতে পারবেন।” বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙ্গুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন। সরকারের বেঁধে দেয়া নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। ৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ থেকেই এ সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চলতি মাসেও যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করবেন না, তারা সেই সিম আবার কিনতে চাইলে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো টানা দুই মাস, অর্থাৎ অগাস্টের আগে আর কেনার সুযোগ থাকছে না। এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।