দেশের টুকরো খবর

অবিচারের শিকার আবদুল জলিল : ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণ মামলায় নাবালক শিশুকে বিশেষ আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ওই আসামিকে জামিন দিয়ে তাকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাষ্ট্রকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক আসামি আবদুল জলিলকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ করাই যুক্তিযুক্ত। ২০০১ সালে ১৩ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত আবদুল জলিলকে ১৪ বছর যাবত জেলহাজতে আটক রেখে তার জীবনের যে ক্ষতি করা হয়েছে, তা পূরণ হবে কীভাবে? আসামি অপরাধী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষ আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার প্রাপ্তির অধিকারী। এই মামলায় নাবালক শিশু আবদুল জলিলকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই কিছুটা হলেও অর্থনৈতিকভাবে আসামি জলিলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে তার জীবনের দুঃখ ঘোচাতে রাষ্ট্রপক্ষ বাধ্য। এ সংক্রান্ত জেল আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারক এএফএম আবদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল বুধবার প্রকাশ পেয়েছে। রায়ের বিবরণীতে জানা যায়, ১৫ বছরের একটি শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনায় ২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোলার চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯-এর ১ ধারায় আবদুল জলিলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল। ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট এ রায় দেয়া হয়।

 

ছোট ভাইসহ কারাগারে সাবিরার কথিত প্রেমিক

স্টাফ রিপোর্টার: মডেল সাবিরা হোসেনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার মামলায় গ্রেফতার তার কথিত প্রেমিক নির্ঝর সিনহা (২৮) ও তার ছোট ভাই প্রত্যয় সিনহাকে (২৪) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপনগর থানার পরিদর্শক শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবিরা হোসেন একজন মডেল। তার সাথে নির্ঝর সিনহার প্রেমসম্পর্ক হয়। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সম্পর্ক চলাকালে সাবিরা গত সোমবার আসামি নির্ঝরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ সময় নির্ঝরের ভাই প্রত্যয় তাকে ধমক দেন। এতে সাবিরা মনঃক্ষুণ্ণ হন। পরে নির্ঝরের সাথে সাবিরা মোবাইলে কথা বলেন। মঙ্গলবার রাতে সিলিং ফ্যানের সোথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন সাবিরা।

 

বাংলাদেশে আক্রমণের মিথ্যা দাবি করছে আইএস

স্টাফ রিপোর্টার: মিথ্যা আক্রমণের দাবি করে আইএস বাংলাদেশে ধর্মীও মৌলবাদের উত্থান ঘটাতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, দেশের স্থানীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এই হামলা চালাচ্ছে এমন যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় নিজেদের মূল আস্তানা হারিয়ে ফেলায় এবং অর্থের খোরাক ফুরিয়ে যাওয়ায় আইএস এখন লিবিয়া, মিশর ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জিহাদিদের বেছে নিচ্ছে যাতে স্থানীয়ভাবে স্বল্প খরচে হামলা চালানো যায়। কিন্তু দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরিয়ার আলম এই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলো (খুন করা প্রসঙ্গে) নিশ্চিতভাবেই মিথ্যা। কিন্তু আমাদের সহযোগী দেশগুলোর সাথে একমত হয়েছি, বিষয়টি নিয়ে কোন বিতর্কে যাবো না আমরা। কারণ এটা একটা ভুল বার্তা দেয়।

 

একাদশ শ্রেণিতে একজন ভ​র্তির আবেদন করতে পারবে ২০টি কলেজে

স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এবারও অনলাইন ও মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়। মুঠোফোনে আবেদন করতে হবে টেলিটক মুঠোফোনের (​প্রি-পেইড) মাধ্যমে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন বলেন, অনলাইনে ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী এক আবেদনেই ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে। এর পাশাপাশি খুদে বার্তায় আরও ১০টি কলেজের পছন্দক্রম দেওয়া যাবে। তবে খুদে বার্তায় আবেদনের জন্য প্রতি খুদে বার্তায় একটি কলেজের নাম দেয়া যাবে। আর এ জন্য প্রতি খুদে বার্তার জন্য ১২০ টাকা করে দিতে হবে। এই হিসেবে ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী ২০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। গতবার পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রম দেয়ার সুযোগ ছিলো। এবার প্রথমে ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দেয়ার সিদ্ধান্তও হলেও পরে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান আশফাকুস সালেহীন। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা ​বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির জারি করা ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, মুঠোফোনে আবেদনের জন্য একই নম্বর ব্যবহার করতে হবে এবং সেই সিম অবশ্যই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হতে হবে।