চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মহিলা চোর আটক চুরি করা মালামালের টাকা দিয়ে থানা থেকে মুক্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইলফোন চুরি করে থানায় গিয়েও অবশেষে ১ হাজার টাকায় মুক্তি পেয়েছে আলেয়া খাতুন। গতকাল বেলা ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর বিছানা থেকে মোবাইলফোন চুরি করে সে। এর আগে স্থানীয় এক দোকান থেকে বিভিন্ন প্রকারের ফলমুল চুরি করে হাসপাতালের ওয়ার্ডের মধ্যে ঢোকে আলেয়া। ওই দোকানদার দ্রুত এসে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা ওই ফলমুল উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলফোন চুরির কথাও অকপটে স্বীকার করে আলেয়া খাতুন। তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পরে মোবাইলফোন চুরি বাবদ ওই রোগীর ছেলে খোকনকে ১ হাজার টাকা দেন আলেয়ার লোকজন। সদর থানায় বসে ১ হাজার টাকায় মীমাংসা করে আলেয়াকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য গোজগাছ করছিলেন মাখালডাঙ্গার এক নারী রোগীর লোকজন। এ সময় রোগীর ছেলে খোকন ও পূত্রবধূ সাইফা খাতুনের ব্যস্ততার ফাঁকে বিছানায় থাকা একটি মোবাইলফোন নিয়ে দ্রুত সটকে যাওয়ার চেষ্টা করে আলেয়া খাতুন নামের এক মহিলা। ওই মহিলার পিছু নিয়ে দ্রুত ছুটে আসে হাসপাতাল এলাকার এক ফলের দোকানদার। তার কাছে থেকে উদ্ধার করে চুরি হওয়া ফলমুল। এ সময় সাইফা খাতুন গিয়ে তার মোবাইলফোনের সন্ধান চাইলে আলেয়া ওই মোবাইল তার বোনের কাছে দেয়ার কথা জানান। পরে আবার মোবাইলফোন চুরির কথা অস্বিকার করে সে। আলেয়াকে দেখে অনেকেই স্থানীয় বলেছেন এর আগেও সে চুরির অপরাধে একাধিকবার আটক হয়েছে। এরপর খবর দেয়া হয় পুলিশে। চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ওলিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আলেয়া খাতুনকে আটক করে থানায় নেন। আটককৃত আলেয়া খাতুন (৫০) আলমডাঙ্গা ভাংবাড়িয়ার খোরদ গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর স্ত্রী। খবর পেয়ে আলেয়া খাতুনের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে মীমাংসা করে। থানায় বসে ওই রোগীর ছেলে খোকনের চুরি হওয়া মোবাইলফোন বাবদ ১ হাজার টাকা দেয় আলেয়ার লোকজন। মোবাইলফোনের টাকা দিয়ে আলেয়াকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার লোকজনরা।

এদিকে হাসপাতাল থেকে এসব চুরি দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। গতকাল চোরও ধরা পড়েছে, দোষী সাব্যস্ত হয়ে চুরি করা মোবাইলফোন বাবদ টাকাও দিয়েছে, তারপরও আটক আলেয়াকে পুলিশ থানা থেকে ছেড়ে দেয়ায় হাসপাতাল এলাকার অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।