জনপ্রশাসন পদক : প্রথম বারেই চমক দেখালেন দামুড়হুদার ইউএনও ফরিদুর রহমান

 

স্টাফ রিপোর্টার: সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মউদ্দীপনা বাড়াতে চলতি বছর থেকে চালু করেছে জনপ্রশাসন পদক-২০১৬। আর প্রথম বারেই খুলনা বিভাগের একমাত্র কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. ফরিদুর রহমান । জীব বৈচিত্র রক্ষায় অবদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়।

খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সুবাস চন্দ্র সাহা গতকাল শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে মো. ফরিদুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদকটি তুলে দেন। এ সময় তাকে একটি সনদ ও প্রাইজমানি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান , পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু প্রমুখ।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাক, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, চুয়াডাঙ্গা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফুল হক, আলমডাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হাসান ও দামুড়হুদার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হালিমসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি সুবাস চন্দ্র সাহা এ সময় বলেন, ‘সরকার প্রথমবারের মতো এ বছর থেকে জনপ্রাশসন পদক-২০১৬ চালু করেছে। জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রবর্তিত পদকে খুলনা বিভাগ থেকে জেলা পর্যায়ে পদকটি পেয়েছেন ফরিদুর রহমান। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, খুলনা বিভাগের একমাত্র পদকপ্রাপ্তও তিনি। এখন থেকে তিনি নামের শেষে জনপ্রশাসন পদক বা সংক্ষেপে পিএএ  সম্মানসূচক পদকের বিষয়টি লিখতে পারবেন। ’

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফরিদুর রহমান বলেন, ‘এটা বিরাট অর্জন। এতে কাজ করার আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো। এজন্য সকল শ্রেণির মানুষের সহযোগিতা চাই।’

উল্লেখ্য, মো. ফরিদুর রহমান ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর দামুড়হুদার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি দর্শনায় মেমনগর মেমোরী ইকোপার্ক, শিবনগর সরকারি আমবাগানে ডিসি ইকো পার্ক, চিতলায় ইকো পার্ক, কুড়ুলগাছি গ্রামে বাঘমারা আমবাগান ও বোয়ালমারী গ্রামে আমবাগান তৈরি করেন। এতে এলাকার জীববৈচিত্র রক্ষায় বড় ধরণের অবদান রাখেন তিনি। যার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে বৃক্ষরোপণখাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে আইসিটি ও ইনোভেশন পদক লাভ করেন। ফরিদুর রহমান মাগুরা জেলার শালিখা থানার মধুখালী গ্রামের আবুল হাশেম মোল্লা ও মোছা. শুকুরণ নেছার ছেলে। তিনি ১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে এইচএসসি, ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ (মেজর ইন অ্যাকাউন্টিং) ও ২০০১ সালে এমবিএ (মেজর ইন অ্যাকাউন্টিং) পাশ করেন। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি ইন ফাইনান্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ২৪ তম বিসিএস’র মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরীতে যোগদান করেন।