গাংনীর জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সড়কে হাঁটুপানি!

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সড়কগুলোতে এখন হাঁটুপানি। সম্প্রতি ভারি বর্ষণের ফলে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে কালভার্টের অভাব অন্যদিকে রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গাংনী উপজেলা শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার উত্তরে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কের পাশে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের অবস্থান। প্রধান সড়ক থেকে জোড়পুকুরিয়া গ্রাম হয়ে একটি পাকা সড়ক ভোমরদহ গ্রাম মিশেছে। এ সড়ক থেকে গ্রামের মধ্যে রয়েছে আরেকটি পাকা সড়ক। এর কিছু অংশ এইচবিবি আর কিছু অংশ কার্পেটিং। গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামের ভেতরে জমা পানি বের হওয়ার জন্য সড়কের কয়েকটি স্থানে কালভার্টের প্রয়োজন হলেও তা তৈরি করেনি সড়ক নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মরসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি মরসুমে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও সম্প্রতি কয়েক দিন ভারী বর্ষণের ফলে গ্রামের সড়ক জুড়েই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। হাঁটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে গ্রামের নারী, শিশু ও আবাল বৃদ্ধ-বণিতা। যা যাতায়াতের এক প্রকার অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। কলেজছাত্রী মৌসুমী ও রেহেনা পারভীন জানান, সড়কের কয়েক জায়গায় হাঁটুপানি জমে রয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে।

গ্রামের মুদিদোকানি আব্দুর রশিদ জানান, জোড়পুকুরিয়া বাজারের আশপাশে তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ রয়েছে। জোড়পুকুরিয়া গ্রামের ছেলেমেয়েরা সেখানে লেখাপাড়া করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী ছাত্রছাত্রীসহ জনসাধরণের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

একই গ্রামের আক্তারুজ্জামান জানান, গ্রামের ভেতরে চাষিদের মাছ আনা-নেয়াসহ স্বাভাবিক কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে মাথায় বোঝা নিয়ে মালামাল পার করতে হচ্ছে। এতে বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

জোড়পুকুরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দীন জানান, রাস্তা সংস্থার ও জলাবদ্ধার স্থায়ী সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো ফল হচ্ছে না। গ্রামের মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে গ্রামের কয়েকজন জানান, রাস্তার পাশে যত্রতত্র পুকুর খনন ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে বাড়িঘর তৈরির ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী জানান, সড়ক রক্ষায় গ্রামের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের সড়ক নিজেদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। তবে অচিরেই কালভার্ট স্থাপন ও সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিলেন তিনি।