আলমডাঙ্গায় সৎ পিতা ধর্ষণ করলো শিশু মেয়েকে : ধর্ষক পিতা গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে সৎ পিতা তার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর ধর্ষক পিতা মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাঠ থেকে ধর্ষণের আলামত ও শিশুর রক্তাক্ত পায়জামা জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে গ্রামের নির্জন মাঠে নিয়ে পিতা তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের মতলেব আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম শুক্রবার বিকেলে তার প্রথম পক্ষের মেয়ে স্কুলছাত্রীকে (৯) ফুঁসলিয়ে মাঠে নিয়ে যান। সেখানে একটি নির্জন লেবু বাগানে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শিশুকন্যার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে সৎ বাবা মেয়ের ক্ষতস্থান লেবুর পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে মুছে দেন। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয় না। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েকে বারবার ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাতে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় শিশুকে। সেখানকার ডাক্তার শিশুকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সৎ পিতাও মেয়ের সাথে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যান। তিনি রাতেই ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় মাকে একা পেয়ে ধর্ষিত শিশু সব ঘটনা খুলে বলে। শনিবার সকালে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষক মনিরুল ইসলামকে উত্তমমধ্যম দিয়ে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আলমডাঙ্গা থানার এসআই মহাব্বত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে হারদী গ্রামে যান। সেখান থেকে ধর্ষক পিতা মনিরুলকে গ্রেফতার করেন তিনি। এসআই মহাব্বত আলী জানান, ধর্ষিত শিশুর রক্ত মাখা পায়জামা ও ঘটনাস্থল লেবু বাগান থেকে রক্তমাখা লেবুর পাতা আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। ধষিত শিশুর পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলামকে মিরপুর থানায় নেয়া হয়েছে।