ঝিনাইদহে শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকেরা মিলে লুটপাট করছে প্রাথমিক শিপের ৪০ হাজার টাকা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সরকার সারাদেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ বাবাদ ৪০ হাজার টাকা ও প্রাক প্রাথমিকের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট্ট ছোট্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য খরচ করতে পারেন। কিন্তু এই ৪৫ হাজার টাকার ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসার মাছুদ করিম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তথ্য জানা গেছে, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে যে স্কুল প্রটি ৫ হাজার ৫শ টাকা প্রথমেই গোপনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের নিকট দেয়া হয়। তারপরে শিক্ষা অফিসার চেকে স্বাক্ষর করেন।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহের জন্য গেলে, যে তথ্য বেরিয়ে আসে তা হলো, কোনো সাংবাদিক যদি এই টাকার ব্যাপারে কোনো কাগজ পত্র দেখতে চায় তাহলে বলবেন হিসাব পত্র না দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শিপের টাকা প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিছ আরা জানিয়েছে যে, বাহিরের কোনো লোক এমন কি সাংবাদিক যদি হয় তাদের কোন হিসাব পত্র দেখাবেন না। তাই তিনি ৪৫ হাজার টাকা কোন কোন বাবদ খরচ করেছেন তার তথ্য প্রদান করতে অস্বীকার করেন। তিনি সাংবাদিক যাওয়ার পর মোবাইলে গোপনে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের সাথে এসব কথা বলেন। সাথে সাথে তিনি এও বলেন স্কুল সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে নেয়া যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, সরকার শিপের ৪০ হাজার টাকা দিয়েছে তার থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ৫ হাজার টাকা আগেই দিতে হয়েছে। তারপর ভ্যাট ইনকাম ট্যাক্স বাবদ ২ হাজার টাকা কেটে নিয়েছে। হিসাব দেখানোর সময় বেশী বেশী করে লিখে তা পুরন করতে হবে।

যদি এই ব্যাপারে কাউকে বলা হয় তাহলে চাকরির কি অবস্থা হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চাকরি ক্ষেত্রে বদলীসহ বিভিন্ন ঝুকির কারণে কোন শিক্ষক মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

এই প্রসঙ্গ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন রেজিস্টার দেখাতে নিষেধ করেছি। আমার বিরুদ্ধে শিপের টাকা লুটপাটের যে অভিযোগ উঠেছে তাহা মিথ্যা, এই প্রকৃতির কোনো কাজের সাথে আমার সম্পৃক্তা নেই।