ঝিনাইদহে প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা : হাট-বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৩ জন। এদিকে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতা বিক্রেতারা স্বাভাবিক সময়ের মতোই কেনাবেচা করছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাইকে প্রচারণা চালানো হলেও তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না কেউ। এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় ঝিনাইদহে মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। এখানে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না মানুষ। হাট-বাজারে ভিড় করছে। গায়ে গা ঘেঁষে চলছে কেনাবেচা। সরেজমিনে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা শহরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও উপজেলা শহর ও গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু দোকান সীমিত আকারে খুলে কেনাবেঁচা করছে। আইনকে তোয়াক্কা না করেই গণপরিবহন, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন ও অটো রিকশায় নিয়মের অতিরিক্ত মানুষজন চলাচল করছে। মানুষ গাদাগাদি করে যাতায়াত করছে। প্রশাসন এখনও ঝিনাইদহ জেলা অবরুদ্ধ করেনি। শৈলকুপার ভ্যান চালক মশিউর রহমান বলেন, “পেটের তাগিদে ভ্যান চালাচ্ছেন। আগে দিনে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা আয় হতো। এখন দেড়-দুশো টাকা আয় হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তায় চলাচলে বাধা নেই। উপজেলা সদরে মাঝে মাঝে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।” সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হান্নান বলেন, জেলা শহরে যেতে দিচ্ছে না। সড়ক মহাসড়কে চালাচ্ছেন। পুলিশ মাঝে মাঝে বাধা দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, “মানুষকে ঘর থেকে বের হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। তারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও করা হচ্ছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে না। হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না।” ঝিনাইদহ জেলায় এ পর্যন্ত ২১ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পুলিশ মানবিক আচরণ করছে। নিষ্ঠুর হতে পুলিশ সদস্যদের নিষেধ করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More