ক্রাইস্টচার্চের ৫১ মুসল্লি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নিউজিল্যান্ডে দুটি মসজিদে জুমার সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৫১ মুসল্লিকে হত্যাকারী সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আদালতের রায়ের শুনানির জন্য ক্রাইস্টচার্চে নেয়া হয়েছে। আজ ২৪ আগস্ট সোমবার রায় ঘোষণা করা হবে। গতকাল রোববার বিকালে স্থানীয় বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর একটি বিমান থেকে তাকে নামানো হয়। অকল্যান্ডের পারেমোরেমোতে অবস্থিত কারাগার থেকে ঘটনাস্থল ক্রাইস্টচার্চে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে।
সোমবার ক্রাইস্টচার্চের একটি আদালতে এই হত্যা মামলার শুনানি হবে। সেখানে হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বক্তব্য রাখবেন। রায় ঘোষণার আগে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকেও জবানবন্দি দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। নিউজিল্যান্ডে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। মুক্তির কোনো সম্ভাবনা না রেখেই বিচারক এমন রায় দিতে পারেন, যদিও দেশটিতে এমন রায় একেবারে বিরল।
গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে ক্রাইস্টচার্চের উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণা শুরু হবে। যা চার দিন স্থায়ী হবে। এ সময় নিহত এবং আহতদের পরিবারকে আদালতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে আদালত জানিয়েছে, ঘাতক অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীর সামনে তার নৃশংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কেমন আছে, তা তুলে ধরা হবে। স্ব-স্বীকৃত সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেন্টন ট্যার‌্যান্টের বিরুদ্ধে ৫১টি হত্যার অভিযোগ, ৪০টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মার্চে অপ্রত্যাশিতভাবেই দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন এ ঘাতক। দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরীয় দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই। কিন্তু বাদবাকি জীবন তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে। সন্ত্রাসী ও হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আইন রয়েছে।
গত বছরের ১৫ মার্চের ওই হামলার পর থেকে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠবাদীরা আরও সাহসী হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। আধুনিক ইতিহাসে এটাই দেশটিতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More