দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন আরও ৭  জন : বাড়ি ফিরলেন ১১ জন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও ৭ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ।  দিকে, চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষক কেন্দ্রে (টিটিসি) ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারতের গেদে চেকপোস্ট হয়ে দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশ করেন ওই বাংলাদেশীরা।  দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছালে তার হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়।

দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল আলিম জানান, ভারতের কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিয়ে সোমবার বিকেলে পর্যন্ত ৭ জন বাংলাদেশী দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশ করেন।   সেখানে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেকের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়।  তবে কেউ করোনা শনাক্ত হননি।  এনিয়ে গত ১৪ দিনের মোট ৭৩২ জন বাংলাদেশী দেশে প্রবেশ করলেন।  এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশের অভিবাসন শাখা (ইমিগ্রেশন) ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে তাদের নির্ধারিত পরিবহনযোগে (মাইক্রোবাস) ভারত ফেরত ৭ জনকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।  সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।   এরআগে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষক কেন্দ্রে (টিটিসি) ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষ করার পর বাড়ি ফিরেছেন ভারত ফেরত ১১ জন যাত্রী।  সকালে ঘরে ফেরা এসব যাত্রীদের ফুল দিয়ে বিদায় জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, জেলা আনসার ও ভিডিপি’র কমান্ড্যান্ট আলমঙ্গীর হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।  ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ও কোয়ারেন্টিন প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  গত ১৭ মে ভারতে আটকা পড়া এসব বাংলাদেশী দেশে প্রবেশ করে।ন  গতকাল রোববার শেষ হয় তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর থেকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।  এরপর গত ১৭ মে থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরা ৭ শতাধিক বাংলাদেশীদের সরকারী ও বেসরকারী  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা হয়।  ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে পর্যায়ক্রমে বাড়ি ফিরবেন এসব ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা। এছাড়া ভারত ফেরতদের মধ্যে করোনা শনাক্ত ১১ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More